আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদের আওয়াজ উঠল সাংসদের পরিবার থেকেও

আরজি করে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার পর নারী নিরাপত্তা প্রশ্নচিহ্নের মুখে। প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকার তথা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। আর এই নারী নিরাপত্তা ইস্যুতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে নিরাপত্তার দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন। এবার সেই একই প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের  মেয়ে তথা হাইকোর্টের আইনজীবী প্রমিতী বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার অন্যান্য আইনজীবীদের সঙ্গেই প্রতিবাদে সামিল হন তিনি।

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন পথে নেমেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা। কোনও স্লোগান ছাড়া শুধুমাত্র কিছু ব্যানার হাতে পথ হাঁটেন তাঁরা। এদিনের এই মিছিলে অংশ নেওয়া প্রমিতী জানান, তদন্ত নিয়ে তিনি কিছু বলতে পারব না। তবে যা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। মানুষ রাস্তায় নেমে বিচারের জন্য। এবার রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে আইনজীবীরাও।

গত কয়েকদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। আরজি করে মধ্যরাতে হামলার ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ থেকে শুরু করে রবিবার ফুটবল ক্লাবের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ। এই ঘটনায়  কলকাতা পুলিশকে তথা সমগ্র পুলিশ প্রশাসনকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না সাংসদ কন্যা। প্রমিতী বলেন, ‘ট্রোলের জন্য, খবর ছড়ানোর জন্য পুলিশের এত তৎপরতা। তৎপরতাটা আসলে কোথায় দেখানো উচিত, সেই প্রশ্ন উঠছে।’

আইনজীবী প্রমিতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র একজন আইনজীবী বা সাংসদই নন, শাসকদলের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে একজন। তাঁর মেয়ে হলেও, প্রমিতীর দাবি, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। আর ভুল কাজের জন্য প্রতিবাদ জানাতে হবে বলেই মনে করেন তিনি। সঙ্গে এও জানান, নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি। মহিলা আইনজীবীদেরও অনেক সময় রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। আর এরই প্রেক্ষিতে প্রমিতী জানান, ‘হ্যাঁ আমিও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। মহিলা হিসেবে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছে যে আমার শহরে এটা ঘটে গিয়েছে। আমরা তাকিয়ে আছি সিবিআই-এক দিকে।’

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘আমি একজন মেয়ের বাবা, এক দিদির ভাই, এক মায়ের সন্তান। ন্য়ায় তো চাইতেই হবে। তিনি মনে করেন, রাস্তায় নামলে যারা বিকৃত মনস্ক মানুষ, তাদের একটা বার্তা দেওয়া দরকার।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + five =