চতুর্থ দিনে প্রায় সাড়ে ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই দফতর থেকে বের হন সন্দীপ ঘোষ। গত শুক্রবার রাস্তা থেকে সন্দীপ ঘোষকে ধরে সিবিআই। নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। আগেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ হাজিরা দিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। আরজি কর কাণ্ডে হাজিরা দেননি সন্দীপ ঘোষ। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি । আর সেই কারণেই পলিগ্রাফ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সিবিআই। এখনও বেশ কিছু তথ্য অধরা, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। সিবিআই সূত্রে খবর, এ বিষয়ে প্রথমে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল, তারপরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে পারে সিবিআই সূত্রে এমনটাই খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবারের বয়ানের ভিত্তিতে সন্দীপ ঘোষের বয়ান রেকর্ড করা হবে এবং মিলিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত তথ্য এখনও অধরা বা অমিল, সেই সমস্ত তথ্য আবারও খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে এদিন প্রকাশ পেয়েছে নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। উল্লেখ করা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে প্রচুর আঘাতে চিহ্ন রয়েছে৷ নির্যাতিতার ঠোঁট, মাথা, নাক, চিবুক, গলা, বাঁদিকের ঘাড়, বাঁ হাত, গোড়ালিতেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ তাছাড়াও নির্যাতিতার যৌনাঙ্গের ভিতরেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ নির্যাতিতার ফুসফুস এবং শরীরে ভিতরে অন্যান্য অংশেও রক্ত জমাট বেঁধে থাকার প্রমাণ মিলেছে৷