তৈরি হল তৃণমূলের নয়া মিডিয়া কমিটি। সূত্রের খবর, শাসক দলের মিডিয়া কমিটিতে থাকছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, কুণাল ঘোষ ও জয়প্রকাশ মজুমদার। এই কমিটির কাজ হল, বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়ায় দলের পক্ষ থেকে যে বক্তারা যাবেন, তাদের তালিকা তৈরি, দলের কী অবস্থান হবে, সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা তৈরি করা। আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হয়েছিল শান্তনু সেনকে। সম্প্রতি আরজি কর ইস্যুতে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। সেখানকার পড়াশোনা রসাতলে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। এরপরই তাঁকে মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছিলেন, দল মনে করেছে তাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আবার আরজি করে ‘তিলোত্তমা’ মৃত্যুর পর তাঁর বাবা-মা অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা তাঁদের আগেই জানিয়েছিলেন নাইট ডিউটিতে সমস্যা হয়। তাঁর সেই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছিলেন শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়েকে আরজি কর-এ নাইট ডিউটিতে পাঠাবেন কি না সন্দেহ রয়েছে। এরপর শান্তনু সেনও সেখানকার পড়াশোনার ব্যাপারে অভিযোগ তোলেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আরজি করের প্রাক্তনী। আমার মেয়ে সেখানে পড়ে। আরজি করে মেডিক্যাল এডুকেশন গত কয়েক বছরে রসাতলে গিয়েছে। কয়েক জনকে খুশি করতে পারলে প্রশ্ন জানা যায়। উত্তর হাতে নিয়ে হলে ঢোকা যায়, টোকাটুকি করা যায়।’ পরে যদিও তিনি বলেন, আরজি কর ইস্যুতে আর মন্তব্য করবেন না। তবে বিষয়টিকে বোধহয় ভালভাবে নেননি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেহালার কর্মসূচি থেকে তৃণমূলনেত্রী নাম না করে বলেন, ‘কয়েক জন বলছেন, তাঁরা মুখপাত্রের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। জেনে রাখুন, আমরা তাঁদের আগেই সরিয়ে দিয়েছি। তাঁরাও এই চক্রান্তে ছিল।’ এরপর দেখা জানানো হয়, মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হয়েছে শান্তনুকে। এবার আরজি কর আবহের মধ্যেই নতুন মিডিয়া কমিটি তৈরি করল তৃণমূল।