আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশের সব হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। হাসপাতালের ভিতরে কোনও অপরাধ প্রতিরোধ বা মোকাবিলার ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের যে আইন রয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট ধারা–সহ প্রকাশ্যে তুলে ধরতে হবে, এবার এমনই নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।
সোমবারই এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। হাসপাতালের ডার্ক স্পট চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই নির্দেশিকায়। প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করতে হবে। কারণ, আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একের পর এক গাফিলতির অভিযোগ উঠে এসেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তা, সিসিটিভির যথাযথ ব্যবহারের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে সরব চিকিৎসক সমাজ থেকে বিভিন্ন মহল। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে, শুধু ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়েই দায় সারা যাবে না। সঙ্গে এও জানানো হযেছে যে এই সব সিসিক্যামেরা হতে হবে ‘হাই রেজোলিউশন’-এর। রোগীর পরিবারকে হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট নিয়মের উল্লেখ রয়েছে নয়া নির্দেশিকায়।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে মহিলা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প ঘোষণা করা হযেছে। মহিলাদের জন্য আলাদা রেস্ট রুম রাখার কথা বলা হয়েছে হাসপাতালগুলিতে। রাজ্য সরকারও সেফ জ়োন তৈরি করে তা সিসিক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে। মহিলাদের নাইট ডিউটির ক্ষেত্রে দলগতভাবে কাজ করানোর কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলা যাতে সমানুপাতে রাখা যায়, সেদিকে বিশেষ নজরের কথাও বলেছে। এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও বিশেষ নির্দেশিকা দিল।