চলে গেলেন ‘চোখ’-এর জন্মদাতা উৎপলেন্দু

চলে গেলেনচোখের জন্মদাতা যিনি একজন আন্তর্জাতিক পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্রকার। ইনি-ই উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সন্ধে ৫:৫০ মিনিটে পরলোকগমণ করেন। রেখে গেলেন তাঁর দুই কন্যাচিত্রাঙ্গদা এবং ঋতাভরী চক্রবর্তীকে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬। রানীকুঠির সরকারি আবাসনে নিজের ঘরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি,জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁর দেখভালের দায়িত্বে থাকা জ্যোতির্ময় দত্ত। জ্যোতির্ময় জানান, বললে, ‘গত বেশ কয়েকদিন ধরেই উৎপলেন্দুবাবুর শরীরতা একেবারেই ভাল যাচ্ছিল না। পরশু রাতে ওঁর ঘরে আমি এবং  অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়। সেদিন এতটাই খারাপ হয়েছিল ওঁর শরীর ধরেই নিয়েছিলাম হয়ত আর বাঁচবেন না।

 দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন চিত্র পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। তবে গত ৩৪ দিন ধরে তাঁর স্বাস্থ্যের অনেকটাই অবনতি ঘটে। এদিন তাঁর রিজেন্ট পার্কের বাড়িতেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঋতাভরী চক্রবর্তীর বাবা। মৃত্যুকালে উৎপলেন্দুর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ভিড় থেকে সরে থাকা উৎপলেন্দু চক্রবর্তী জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।ময়নাতদন্ত‘, ‘চোখ‘, ‘দেবশিশুর মতো ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন বাঙালিকে।

১৯৪৮ সালে জন্ম উৎপলেন্দুর। স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পড়াশোনা। ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তরুণ বয়সের একটা বড় সময় তিনি পুরুলিয়ায় আদিবাসীদের মধ্যে কাটান।

উৎপলেন্দুর কর্মজীবন শুরু হয় স্কুলশিক্ষক হিসেবে। তবে পরে তিনি সিনেমাশিল্পের দিকে ঝোঁকেন। তাঁর সৃষ্টিজীবন কলকাতাতেই শুরু। তিনি ছবির পাশাপাশি অনেক তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেছিলেন। কাজ করেছেন দূরদর্শনের জন্যও। মোট ছটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি তৈরি করেছিলেন উৎপলেন্দু। প্রসব (১৯৯৪) তাঁর শেষ কাজ। তাঁর বিশিষ্ট কাজের মধ্যে পড়েময়না তদন্ত‘ (১৯৮০), ‘চোখ‘ (১৯৮৩), ‘ফাঁসি‘ (১৯৮৮) তথ্যচিত্রে খুব চিত্তাকর্ষক কাজ করেছিলেন সত্যজিতের সঙ্গীত নিয়ে, দেবব্রত বিশ্বাসকে নিয়ে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 1 =