আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় সাসপেন্ড দুই অ্যাসিট্যান্ট কমিশনার ও এক ইন্সপেক্টর

গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর চালিয়েছিল একদল উন্মত্ত জনতা৷ এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট৷ এবার হাসপাতাল ভাঙচুর কাণ্ডে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে  দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও একজন ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করল লালবাজার। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর৷ ঘটনার দিন ওই তিনজনই আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন৷ অন্যদিকে পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও কী করে আরজি কর হাসপাতালে হাজার হাজার উন্মত্ত জনতা ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে এ দিনও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় যে পুলিশের গাফিলতি ছিল, কয়েকদিন আগে সাংবাদিক বৈঠকে তা কার্যত স্বীকার করে নেন নগরপাল বিনীত গোয়েল৷ তবে তিনি জানিয়েছিলেন, ১৪ তারিখে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফর্ত বিক্ষোভ থেকে হাসপাতাল ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে যাবে তা ভাবতে পারেনি পুলিশ৷ এমন কি, কোথায় কত মানুষ জড়ো হতে পারে, সেই হিসেবও করতে পারেনি লালবাজার৷ হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রায় চল্লিশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বহু সাধারণ মানুষকে, নোটিসও পাঠান হয়েছে সন্দেহভাজন অনেককেই৷ হাসপাতাল ভাঙচুর কাণ্ডের তদন্তে ১৫ সদস্যের সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − 5 =