নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, ‘আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু রাজ্যকে একটা বিষয় দেখতে হবে, যাতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বাধা দেওয়া না হয়। যেন প্রতিবাদ করতে দেওয়া হয়। আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদ করা যাবে৷ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রতিবাদ সংগঠিত করা যাবে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে কোনও রকম পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।’
এদিকে আগামী ২৭ অগাস্ট ‘নবান্ন চলো অভিযান’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চায় রাজ্য। পুরো বিষয়টি একটা গুরুতর জায়গায় পৌঁছেছে। প্রতিবাদ, মিছিল, মিটিং নিয়ে রাজ্য হলফনামাও জমা দেয় শীর্ষ আদালতে।
এদিকে, আরজি কর কাণ্ডকে সামনে রেখে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘ছাত্র সমাজ’। যদিও এই ছাত্র সমাজ কোনও দলের ছাত্র সংগঠন নয়। অন্তত প্রকাশ্যে কোনও রাজনৈতিক দলই এর ‘দায় এবং দায়িত্ব’ নেয়নি। এরই মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, সেই অভিযানে তিনি ‘ব্যক্তিগত’ ভাবে অংশগ্রহণ করবেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর আবেদন, ‘সব পরিবার থেকে এক জন করে ওই অভিযানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেখানে যাব। এটা কোনও দলের ডাক নয়। সকলেই বুঝতে পারছেন, সব সমস্যার মাথা মুখ্যমন্ত্রী! তাঁকে বলব, ২৬ তারিখের মধ্যে পদত্যাগ-সহ সব ব্যবস্থা নিয়ে রাখুন। যাতে ২৭ তারিখ গুলি চালাতে না হয়!’
এদিকে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এদিন একের পর এক প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য প্রশাসন। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় সিবিআই প্রবেশ করেছে। সব কিছু বদলে গিয়েছে।’ এদিকে রাজ্যের তরফে বলা হয়, ‘কিছু বদলে যায়নি। সব কিছুর ভিডিওগ্রাফি রয়েছে।’ এরই রেশ ধরে আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্তের মেডিক্যাল রিপোর্ট কোথায়, সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি। জবাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানায়, রাজ্য তাদের হাতে এটা দেয়নি। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, কেস ডায়েরির মধ্যে সব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ‘নবান্ন অভিযান’ নিয়ে আবেদনও করা হয় রাজ্যের তরফে।