ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, ৬ সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

২০২০ সালে এসএলএসটির ৪৬৫ টি শূন্য পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২০২১ সালের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ধাপে ধাপে পরীক্ষাও নেওয়া হয়। এদিকে নবম এবং দশম শ্রেণির সাঁওতালি মিডিয়ামে কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদ ছিল ১৯টি। মামলাকারী শিবরাম সিনহা-সহ ৮ চাকুরীপ্রার্থী তারা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন । ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেধা তালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীদের তাদের এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ভেরিফিকেশন হয়। কিন্তু তারপরেও কারও চাকরি হয়নি বলে অভিযোগ।

এদিকে কর্মশিক্ষা বিষয় একাধিক চাকরিপ্রার্থী মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তরা  নিয়োগপত্র না পাওয়ায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানান। নিরুপায় চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন। মামলাকারী শিবরাম সিনহা-সহ আট জন চাকরি প্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী  আশিস কুমার চৌধুরী জানান,১৯টি শূন্য পদ ছিল এবং তার মধ্যে ১৭ জনের চূড়ান্ত মেধাতালিকায় মামলাকারীদের নামও নথিভুক্ত ছিল। সেক্ষেত্রে সকলেরই নিয়োগ পাওয়ার কথা। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মামলাকারীদের সমস্ত তথ্য যাচাই করে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। এরই  প্রেক্ষিতে প্রশ্ন ওঠে যে, মেধাতালিকায় তাঁদের নাম থাকা সত্ত্বেও তাদের বঞ্চিত করে ওই শূন্য পদে কারা নিয়োগ পেলেন তা নিয়েও। পাশাপাশি আশিস চৌধুরী এও দাবি করেনআদালতে স্বচ্ছ নিরপেক্ষের তদন্তের প্রয়োজন আছে।

এ ব্যাপারে বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় তাঁর এজলাসে একাধিকবার রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও তারা আদালতে নির্দেশ এড়িয়ে গিয়েছে। বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় তার নির্দেশ নামায় জানিয়েছেন মামলাকারীরা মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরেও তারা নিয়োগ থেকে কেন বঞ্চিত হলেন তা আদালতে জানানোর। পাশাপাশি তিনি এও জানান, আবেদনকারীদের আবেদন দীর্ঘদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ফেলে রাখতে পারে না। অবিলম্বে বিষয়টি ৬ সপ্তাহের মধ্যে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 1 =