আন্দোলনকারীদের চাপে, পাথর বৃষ্টির মুখে পিছু হটতে বাধ্য হল পুলিশ

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বেলা বাড়তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল একাধিক এলাকা। লাগাতার ফাটতে থাকে কাঁদানে গ্যাসের সেল, ছোড়া হয় জল কামান। যদিও এত কিছুর পরেও পিছু হটতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। পাল্টা আছড়ে পড়ে ক্ষোভ। হাওড়া ময়দান এলাকায় মাথা ফাটল পুলিশের। রক্তে ভেসে যায় উর্দি। ওই অবস্থাতেই ওই পুলিশ কর্মীকে জনতার মধ্যে থেকে উদ্ধার করতে দেখা যায় বেশ কিছু আন্দোলনকারীদের। বারবার বলতে লাগলেন আমরা কোনও ঝামেলা চাই না। কিন্তু, ঝামেলায় নেই বললেও বাস্তব ছবিটা একটু আলাদই ছিল। একাধিক জায়গায় আবার আন্দোলনকারীদের খুঁজে খুঁজে লাঠিচার্জ করতে দেখা যায় পুলিশকে।

শুধু হাওড়া ময়দান নয়, হাওড়া ব্রিজেও সকাল থেকে ব্যাপক উত্তেজনার ছবি দেখা যায়। ব্রিজে থেকে নামার মুখে এমজি রোডেও দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে দেখা যায় পুলিশ। পাল্টা ইট বৃষ্টি হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। এদিকে একাধিক জায়গায় আবার ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড গড়ে তুলেছিল পুলিশ। কিন্তু, উন্মত্ত জনতার ঢেউয়ে বহু জায়গাতেই খড়কুটোর মতো উড়ে যায় সেই সব ব্যারিকেড। আর ঠিক তখনই ফের জল কমান নিয়ে তেড়ে আসে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ করতে শুরু হয়ে যায় লাঠিচার্জ। পাল্টা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে ‘বুক পেতেছি গুলি কর, জাস্টির ফর আরজি কর’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিসের’ মতো স্লোগান তুলে ধেয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে কখনও আন্দোলনকারীদের চাপে, পাথর বৃষ্টির মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ। যদিও পর মুহূর্তেই আবার নতুন রণসজ্জায় এগিয়ে আসে উর্দিধারীরা।

সকাল থেকেই হাওড়া ময়দানে মিছিল করতে দেখা যায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকেও। দেখা যায় মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষকেও। আহত পুলিশ কর্মীর পাশেও হাঁটতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানেও ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তুমুল ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সঙ্গে। লাগাতার কাঁদানে গ্যাস চার্জের মধ্যে রাস্তা আকড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বহু আন্দোলনকারীকে। পুলিশ-আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নয় ফরশোর রোডও। এর হাওড়া ব্রিজেও এক পুলিশ কর্মীর মাথা ফাটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 16 =