‘পুলিশের যে কোনও কর্মী তারা সংযমের পরিচয় দিয়েছে। সিপিএম-এর জমানার সময় বুদ্ধবাবুর পুলিশ কোচবিহারে ৫ জনকে গুলি করে মেরে দিয়েছিল। এখানে পুলিশ সংযত। সবাই দেখেছে কারা হামলা করেছে। কারা ব্যারিকেড ভাঙতে গিয়েছে। পুলিশ ক্ষিপ্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে যতটুকু না করলে নয়, ততটুকু করেছে,’ বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে এদিন কুণালকে এ প্রশ্নও তুলতে দেখা যায়, ‘বাংলা বনধের ডাক দিচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার?’ পাশাপাশি কুণাল এও জানান, ‘২৮ শে অগাস্ট পশ্চিমবঙ্গের বুকে কোনও বাংলা বনধ হবে না।’ সঙ্গে বার্তা দেন, ‘বিজেপি চক্রান্তমূলক ভাবে বনধের ডাক দিয়েছে। এই বনধের ডাক মানুষ ব্যর্থ করুন। সাধারণ মানুষ দেখেছেন বাংলা শান্ত। উন্নয়ন-কাজ। আরজি করে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তার একজন গ্রেফতার হয়েছে। আর তাও করেছে কলকাতা পুলিশ। তদন্ত সিবিআই-এর হাতে। এই ছুতোতে শকুনেরা অরাজকতা তৈরি করছে। অনেক বড় প্লট হয়েছে। এতে পা দেবেন না।’
এরই পাশাপাশি কুণালকে এদিন এও বলতে শোনা যায়, ‘সাধারণ মানুষের জাস্টিস চাওয়ার আবেগ আমরা সম্মান করি। আপনাদের আবেগের সুযোগে বিপথে পরিচালিত করে রাজনৈতিক অরাজকতার প্লট তৈরি করেছে এরা। যাচ্ছে নবান্ন। ব্যারিকেড খুলে দিতে হবে। সুকান্তর ডাকা বনধ ব্যর্থ করুন। জনজীবন স্বাভাবিক রাখুন। এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। বিজেপি মহিলাকে সম্মান দেয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার উন্নতির জন্য দায়বদ্ধ। একটি সামাজিক বিচ্ছিন্ন কুৎসিত অপরাধকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করে বাংলাকে অরাজক পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে চাইছে। দয়া করে এটা হতে দেবেন না।’