অবশেষ জট কাটতে চলেছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের, ১৪,০৫২ পদে নিয়োগের অনুমতি হাইকোর্টের

অবশেষে জট কাটল উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে। তবে এর জন্য সময় লেগে গেল প্রায় ৮ বছর।  ১৪,০৫২ পদে নিয়োগের অনুমতি দিল হাইকোর্ট। সঙ্গে নির্দেশ, যে ১,৪৬৩ জন মেধাতালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন, তাঁদের যুক্ত করে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। এরজন্য আদালতের তরফ থেকে ৪ সপ্তাহের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে।  চার সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।  চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর হবে কাউন্সিলিং এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের।

২০১৫ সাল থেকে হাইকোর্টের নির্দেশেই বারবার স্থগিত হয়ে গিয়েছে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০২০ সালে  আবার নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল আদালত। গত বছর অর্থাত্‍ ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। তখন অবশ্য় ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে, তবে কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি।  এরপর মামলাটি চলে যায় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন। ১৮ জুলাই শুনানি শেষ হয়। এরপর বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের  করা হয়েছিল হাইকোর্ট। অভিযোগ, ২০২৩ সালে শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে মেধাতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়  ১,৪৬৩ জনকে। ফলে ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পাননি তাঁরা। আদালতে মামলাকারী জানিয়েছিলেন, কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা চাকরিপ্রার্থীদের জানানো হয়নি। পরে চারবার বিষয়টি খতিয়ে দেখে এসএসসি। শেষে ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়েন ৭৪ জন। সে ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।

আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতের এই নির্দেশর পর জানান, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন, উচ্চ প্রাথমিকের মামলায় যে ‘আপটার ইন্টারভিউ ওএমমার’ আসন পুনর্মূল্যায়ন করে ১৪৬৩ জনকে বাতিল করেছিল, সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সেটা সংশোধন করে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাঁদের বাতিল করা হয়েছিল, তাঁদের আবার মেধাতালিকায় ঢোকাতে হবে। সঙ্গে ১৪ হাজার ৫২ জনের প্রত্যেককে মেধাতালিকায় রেখে কাউন্সিলিং করাতে হবে। কমিশনের পুরনো মেধাতালিকা ভুল ছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + 10 =