দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন কি না তা নিয়ে ধন্দে চিকিৎসক থেকে পুলিশ আধিকারিক স্বয়ং

নবান্ন অভিযানে ইটের আঘাতে গুরুতর জখম কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। আর এই আঘাতের জেরে তিনি আদৌ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয়ে চিকিৎসক থেকে পুলিশ আধিকারিকের পরিবারও। কারণ, মঙ্গলবার রাতে চোখে অস্ত্রোপচারের পরেও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন কি না বা পেলেও কতটা ফিরে পাবেন তা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা৷ কলবকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, দেবাশিসবাবু আঘাতপ্রাপ্ত বাঁ চোখে আরও একবার অস্ত্রোপচার হবে৷ তিনি ওই চোখে আর দেখতে পারবেন কি না, তা আরও এক সপ্তাহ পরে জানা যাবে৷ সূত্রের খবর, উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত সার্জেন্টকে হায়দ্রাবাদ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার৷

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান চলাকালীন খিদিরপুরের কাছে ফারলাঙ্গ গেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন দেবাশিস চক্রবর্তী নামে ওই সার্জেন্ট৷ ২০১৫ ব্যাচের ওই সার্জেন্ট বর্তমানে কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশনের সাইবার সেলের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত তিনি৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবারে ঘটনার সময় একটি গাড়ির ভিতরেই ছিলেন দেবাশিস এবং অন্যান্য কয়েকজন পুলিশকর্মী৷ সেই সময় কিংগস ওয়ে ধরে একদল বিক্ষোভকারী এগিয়ে আসছিলেন৷ আচমকাই পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে৷ তখনই একটি ইটের টুকরো এসে সরাসরি গাড়ির ভিতরে বসে থাকা ওই সার্জেন্টের বাঁ চোখে গুরুতর আঘাত লাগে৷ দ্রুত তাঁকেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতেই কলকাতার একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে ওই সার্জেন্টের বাঁ চোখের অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা৷ কিন্তু সেই অস্ত্রোপচারের পরেও দেবাশিসবাবুর দৃষ্টিশক্তি ফেরা নিয়ে সংশয়ে চিকিৎসকরা৷ আহত সার্জেন্টের পরিবারকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেবাশিসবাবুর বাঁ চোখের রেটিনা এবং কর্নিয়ায় গুরুতর আঘাত লেগেছে৷ তাঁর চোখের আরও একটি অস্ত্রোপচার হবে৷ তার পরই জানা যাবে দেবাশিসবাবু দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন কি না৷ দেবাশিস চক্রবর্তী ছাড়াও গতকালের নবান্ন অভিযানে আরও বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হন৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে দেবাশিসবাবুর আঘাতই সবথেকে গুরুতর৷

(আজকালের সৌজন্য প্রাপ্ত ছবি)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =