পঞ্চায়েত ভোটের দফা বৃদ্ধি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টে মামলা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এরপর বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শোনানি চলাকালীন ফের দফা বাড়ানোর আবেদন নিয়ে সরব হন অধীরের আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেই আবেদনে বিশেষ আমল দিতে দেখা যায়নি আদালতকে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী পাচ্ছে। সেই কারণে দফা বৃদ্ধির আবেদনের কোনও গুরুত্ব নেই। অর্থাৎ, এক দফাতেই ভোট হবে। বুধবারই তা স্পষ্ট করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে একই দাবিতে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। নওশাদের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, অবাধ ও শান্তিুপূর্ণ নির্বাচনের জন্য হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক অথবা ভোটের দফা বাড়ানো হোক। এর পাশাপাশি কয়েক বছরে রাজ্যের ভোটার সংখ্যা ও বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে বলেও জানান নওশাদের আইনজীবী।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক মামলা হয়েছে। কখনও মনোনয়ন জমার সময়সীমা বৃদ্ধি, কখনও আবার অনলাইন মনোনয়ন জমা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক মামলা হয়েছে। ভোট নিয়ে একের পর এক মামলা নিয়ে সম্প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা যায় বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এও বলেন, সস্তার প্রচার পেতেই এই ভাবে একের পর এক মামলা করা হয়েছে।