তিলোত্তমা কাণ্ডে প্রথম থেকেই বারবার প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। বিরোধী শিবির থেকে সাধারণ মানুষ, তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন সবাই-ই। যদিও পুলিশ যে ঠিক পথে তদন্ত করছে সে কথা বারবার জানিয়েছেন পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় স্বয়ং। একই কথা শোনা গেছে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের গলাতেও। পুলিশ যে কিছুই লুকানোর চেষ্টা করছে না সে কথা লাগাতার বলেছেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। যদিও তারপরেও বিবৃতি দিয়ে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছিল তাঁরা সহযোগিতা করছে সদ প্রস্তুত। কিন্তু তাতেও বাস্তবে কিন্তু কমেনি জনরোষ।
এরইমধ্যে নানা প্রতিবাদ মিছিল থেকে জমায়েতে উঠেছে পুলিশ বিরোধী স্লোগান। ‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়’, এই স্লোগানে ছেয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়াও।
এবার পাল্টা সমাজ মাধ্যমে স্লোগান যুদ্ধে নামল পুলিশ কর্তারাও। ‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করে হচ্ছে বড়’। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কলকাতা থেকে জেলা, নানা জায়গা থেকে নানা পদস্থ পুলিশ কর্তাকে করতে দেখা যায় এই পোস্ট।
নিচুতলার থেকে উপরতলার পুলিশ, সব মহল থেকে ওঠে এক আওয়াজ। এই তালিকা থেকে ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকও বাদ গেলেন না। তা নিয়েই এবার শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ট্রাফিক, হেড কোয়ার্টার পর্যন্ত একই পোস্ট করেছেন। হোয়াটস অ্যাপেও বিভিন্ন ডিএসপি এবং এসপি পদমর্যাদার আধিকারিরাও একই পোস্ট করছেন। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হেডকোয়ার্টার মিরাজ খালিদ থেকে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার(ট্রাফিক) রুপেশ কুমার, ডিআইজি বর্ধমান রেঞ্জ শ্যাম সিং, ডিএসপি ঝাড়গ্রাম পুলিশ পারভেজ সরফরাজ, সকলেই করেছেন একই ফেসবুক পোস্ট। কোনও ইস্যুতে পুলিশ কর্মীরা এভাবে সামাজিক মাধ্যমে শেষ কবে নেমেছিলেন, শেষ কবে একযোগে একই সুরে পাল্টা ‘আক্রমণ’ শানিয়েছিলেন তা মনে করতে পারছেন না কেউই।