একাধিক মিছিল ও বনধ নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

রাজ্য জুড়ে একাধিক মিছিল ও বনধ নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করতে দেখা গেল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমকে। যদিও বিজেপির ধরনা মঞ্চ নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। বিজেপির ধরনা মঞ্চের স্থান বদলের আবেদন ফিরিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। উল্টে রাজ্যের আচরণ নিয়েই প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। আরজি কর কাণ্ডের আন্দোলনে রাজ্যের আচরণ নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আরজি কর নিয়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে কিছু মানুষের মনে। ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর জন্য কিছু করুন। ক্ষত সারাতে কিছু পদক্ষেপ করুন। ক্ষতে নতুন করে রেকটিফায়েড স্পিরিট ঢালবেন না। ভারসাম্য রেখে কাজ করুন। রাজ্যে যথেষ্ট দক্ষ অফিসার আছে। ১০ ফুট না পিছোলে বলুন ৩ ফুট পিছোতে। বিক্ষুব্ধ মানুষের সঙ্গে কথা বলুন তাদের ভাল ভাবে বোঝানোর ব্যবস্থা করুন।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিজেপির ধরনা মঞ্চের অবস্থান বদল নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী অমল সেন পিয়ারলেস হোটেলের সামনে ধরনা না করার আর্জি জানান। আবেদনে বলা হয়, পরিবর্তে ওয়াই চ্যানেলের সামনে হোক ধরনা। আট দিন কমিয়ে দুদিন হোক। এরপরেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘ফাইল করলেই খারিজ করে দেব। আমরা দেখেছি আপনাদের পদ্ধতি। যেখানে ডান হাতে কাজ হয় না সেখান বাঁ হাত ব্যবহার করেন। বিষয়টি তুললে আরও লজ্জায় পড়তে হবে আপনাদের’। বুধবার কলকাতায় চারটি র‍্যালি হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যে মোট ৪৬টি বিভিন্ন বিক্ষোভ অবস্থান, মিছিল হয়েছে। এক পক্ষ বিচার করলে হবে না। উভয় পক্ষেই হয়েছে।’

মামলায় রাজ্যের পক্ষ থেকে যুক্তি ছিল, ‘আট দিন ধরনা হবে। তাতে রাস্তা ব্লক হবে, তাই আপিল মামলা করতে চায় রাজ্য। তাতে প্রধান বিচারপতির প্রতিক্রিয়া, ‘একটা মিছিলই যথেষ্ট। ৩০০-৪০০ জমায়েত। আমি নিজেও এই জ্যামে আটকে গেছি বহুবার। এসবের জন্য স্কুলও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই হচ্ছে। সোমবার ডিসি কলকাতা পুলিশ, হাইকোর্ট, রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানিয়েছে জজেরা কোন পথ ব্যবহার করে হাইকোর্টে আসবে। কিছুটা এ পথ কিছুটা বি পথ তারপর লঞ্চ সেখান থেকে গাড়ি থাকবে ওখানে। এইভাবে হাইকোর্টে আসা। আমি আমার ড্রাইভারকে বলেছি অন্য রুট ব্যবহার না করে রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকো। থেকেছি দাঁড়িয়ে ২৫ মিনিট ৩০ মিনিট।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + two =