আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা নিয়ে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব বিরোধী বিজেপি। তবে এবার পালটা পথে নামছে তৃণমূল। শুক্রবার থেকে ময়দানে ঘাসফুল শিবির। ব্লকে ব্লকে শুরু হচ্ছে মিছিল ও ধরনা। নারী সুরক্ষায় তৃণমূল সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রচার।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবার ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে বার্তা দেন, শুক্রবার কলেজের গেটে গেটে ফাঁসির দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করার। সঙ্গে ব্লক প্রেসিডেন্টদের বলেন ছাত্রযুব মহিলাদেরকেও এই আন্দোলনে সামিল করার। শনিবার দিন সব ব্লকে ব্লকে মিছিল করার নির্দেশও দেন। অর্থাৎ ৩১ অগাস্ট ধরনা হবে। মিছিল করে ধরনা হবে। শনিবার হাফ ছুটি। তাই বেলা দু’টো থেকে ৬টা পর্যন্ত ধরনা হবে। মিছিল হবে সব ব্লকে। এরপর এই নির্দেশিকা পৌঁছেছে কর্মীদের কাছেও। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককের ধর্ষণ-খুন নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। রাজ্যর বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ হয়েছে। শাসক তৃণমূলকে নিশানা করছে বিরোধীরা। রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে তৃণমূল। ঘাস ফুল শিবিরের অভিযোগ, আরজি করের ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা জনসাধারণকে ভুল বোঝাচ্ছে। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই বার্তা তুলে ধরবেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। গ্রামের দিকে এই দায়িত্ব সামলাবে তৃণমূলের মহিলা সংগঠন।
তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবার নারী নিরাপত্তায় তৃণমূল সরকার কী করছে তা সাধারণের সামনে তুলে ধরা হবে নেতা কর্মীদের তরফে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প নিয়ে জোরকদমে প্রচার চালানো হবে। আরজি কর নিয়ে দলের অবস্থান সাধারণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে। এ নিয়ে সাংসদ-বিধায়ক থেকে নেতা, সবাইকে নিজেদের এলাকায় নিয়মিত প্রচার এবং জনসংযোগ করতে হবে।
রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, ‘প্রতিদিন যে এই সব ফেক ভিডিওস আর নানা কিছু বেরোচ্ছে, বিজেপির এই সমস্ত পোস্ট করে চাইছে রাজ্যে অরাজকতা, অশান্তি হোক। এবার তাই পুরোদমে সকলেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমেছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধি, ব্লক সভাপতি, পদাধিকারী, সংগঠন এবং প্রশাসনিক স্তরে যারা রয়েছে, এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সবাই বিজেপির বিরোধীতাকে সামনে রেখে প্রচার চালাবে।’