আরজি করের অ্যাসিট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই

আরজি করের অ্যাসিসট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। নিহত ছাত্রীর পরিবারকে ফোন করে প্রথমে অসুস্থতা ও পরে আত্মহত্যার তথ্য দেন আরজিকরের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারই। এবার তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে। সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল আরজি করের মহিলা অ্যাসিসট্যান্ট সুপারের কথা। সে প্রসঙ্গ উঠতে বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা বলেছিলেন, ‘তাঁর আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক।’

এরইমধ্যে তিনটি অডিয়ো ভাইরাল হয়। আর এই ভাইরাল হওয়া অডিও নিয়ে রীতিমত শোরগোল শুরু হয়। এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই মহিলা অ্যাসিসট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে এও জানানো হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা অ্যাসিট্যান্ট সুপার জানিয়েছেন, সেদিন দেহ উদ্বার হওয়ার পর সেখানে অনেক ছাত্র -ছাত্রী এবং আধিকারিক ছিলেন। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান তাঁকে ছাত্রীর বাড়িতে ফোন করে খবর দিতে বলেন।

সূত্রের দাবি, বাড়িতে যেহেতু বয়স্ক লোক আছেন, তাই তাঁরা যাতে বিচলিত না হয়ে পড়েন বা উদ্বিগ্ন না হয়ে পড়েন, তাই অসুস্থতার কথা বলতে বলা হয় বলেই দাবি করেন তিনি। সিবিআইয়ের কাছে মহিলার আরও দাবি, অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি দু’বার ফোন করে অসুস্থতার কথা বলেন। কিন্তু সময় অনেকটা কেটে গেলেও পরিবার না পৌঁছনোয় আবারও তিনি ফোন করেন পরিবারকে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মহিলা অ্যাসিসট্যান্ট সুপারের দাবি অনুযায়ী, ঘাবড়ে গিয়ে সুইসাইড বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি তিনি ঘাবড়ে গিয়ে আত্মহত্যার কথা বলেছিলেন নাকি ঘটনাটি আত্মহত্যার মোড়ক দেওয়ার জন্য কেউ তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা নিয়ে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, অত্যন্ত সন্দেহজনক তাঁর ভূমিকা। সিবিআইও তাঁকে স্ক্যানারেই রাখছে বলে খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 5 =