যাঁরা সাধারণ মানুষকে রক্ষা করবেন, তাঁরাই অভিযুক্তকে সাহায্য করছেন, এমনই অভিযোগ তুললেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠল নিরাপত্তা আদৌ আছে কি না তা নিয়েও। এই প্রশ্ন তুলেই শনিবার ভোর থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এর জেরে সকাল থেকে অবরুদ্ধ ছিল বিটি রোডের একটা অংশ। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যান চলাচল। পুলিশকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন পড়ুয়ারা। অবশেষে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মদ্যপ অবস্থায় ব্যারিকেডে ধাক্কা মেরেছিল বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। একইসঙ্গে পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, বসে ছবি আঁকছিলেন রাস্তায়। পুলিশের অনুমতি নিয়েই চলছিল সেই কর্মসূচি। আচমকা এক সিভিক ভলান্টিয়ার মদ্যপ অবস্থায় বাইক নিয়ে ব্যারিকেডে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পড়ুয়ারা ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় বলেও অভিযোগ।
এই ঘটনার পর কর্তব্যরত ওই পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। শনিবার সকাল থেকে পুলিশকর্মীকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। আর এই ঘটনাতেই প্রশ্ন ওঠে পুলিশ এভাবে অভিযুক্তকে সাহায্য করলে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে তা নিয়েও।
এদিকে সূত্রে কবর, বেশ কয়েক ঘণ্টা এভাবে বিক্ষোভ চলার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে আগামিদিনে আর কাজ করতে দেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মদ্যপ কি না জানতে ওই ব্যক্তির মেডিক্যাল টেস্ট করা হচ্ছে।