আরজি করের ঘটনার এবার সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে সিবিআই-কে সন্দেহভাজনের তালিকা তুলে দিলেন চিকিৎসকেরাই। এরপর এই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসকেরা জানান, ‘সিন্ডিকেটের বড় মাথাদের নাম দিয়ে এসেছি।’ এই তালিকায় কার রয়েছেন কয়েকদিনের মধ্যেই তা প্রকাশ্যে আসবে বলে জানান চিকিৎসকরা।
দীর্ঘ ২২ দিন পর পথে নেমেছেন ২০ হাজার চিকিৎসক। শনিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করেন ডাক্তাররা। মিছিলের পর তাঁরা সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান যে, স্বাস্থ্যে যে সার্বিক দুর্নীতি তা নিয়ে একটি নামের তালিকা গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। ডাক্তারদের দাবি, নেংটি থেকে ধেড়ে সকলের নাম রয়েছে এই তালিকায়। চিকিৎসকরা এও মনে করছেন, স্বাস্থ্যের বেলাগাম দুর্নীতির পরোক্ষ প্রভাবের ফল তিলোত্তমার এমন ঘটনা। চিকিৎসকদের এও দাবি, কর্মবিরতির জেরে বর্ধমান মেডিক্যাল হোক বা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, সব জায়গায় তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ডাক্তারদের বক্তব্য, কারা এই ‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ শুরু করেছেন তা খুঁজে বের করতে হবে। তাহলেই কান টানলে মাথা আসবে। তিলোত্তমার ঘটনায় অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে চলেও আসতে পারে।
আন্দোলনরত চিকিৎসক বলেন, ‘একের পর এক মিথ্যের পাহাড় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বড় কাউকে বাঁচাতে। ধেড়েতম থেকে নেংটিতম দীর্ঘ তালিকা দিয়ে এসেছি। সেখানে কাদের কাদের আশু তদন্তের প্রয়োজন সেগুলো মার্ক করে দেওয়া হয়েছে।’ আরও এক চিকিৎসক বলেন, ‘নামের মধ্যে ছিল কমিশনার অব পুলিশ, হেলথ সেক্রেটারি, মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, মেম্বার। এরা সারাদিন কেন ওইখানে ছিলেন তার যুক্তি গ্রাহ্য কারণ বুঝতে পারিনি আমরা। এখনও বুঝতে পারছি না। এই সব নাম আমরা বলে এসেছি। আমরা চাইছি এদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’
পাশাপাশি তাঁরা এও জানান, সিবিআই-এর কাছ থেকে তাঁরা আশ্বাস পেয়েছেন, দ্রুত বিচার পাওয়া যাবে। সেই সূত্রে তাঁরা এটাও জানতে পেরেছেন, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে ভাল কিছু রিপোর্ট জমা দিতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আন্দোলনরত চিকিৎসক বলেন, ‘সিবিআই আধিকারিকরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন যে তাঁরা নিজেদের বেস্টটুকু দিয়ে চেষ্টা করছেন। তাঁরা আশা রাখছেন দ্রুত একটা ভাল কিছু আমাদের দিতে পারবে।’