সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির

পুলিশের উপর আস্থা নেই। তাই কোনও ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে রাজ্যের বিরোধীরা। সেই হিসাবে রাজ্যের বহু মামলার তদন্ত করছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই রকমভাবে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তও করছে সিবিআই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। বেশকিছু দিন এই মামলার তদন্তও চালাচ্ছে তারা। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি থ্রিডি স্ক্যানারের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। বিচার চেয়ে আন্দোলনকারীরাও ‘আর কত সময় চাই জবাব দাও সিবিআই’-এর মতো স্লোগানে বিঁধছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। আদালতের নজরদারিতে তদন্তে ভরসা থাকলেও সিবিআইয়ের উপর প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

ইতিমধ্যেই শুভেন্দু জানিয়েছেন, ‘আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে যেহেতু কোর্ট মনিটরিং হচ্ছে। শুধু সিবিআই হলে আমার অনেক প্রশ্ন ছিল। সিবিআই অফিসাররাও সবাই যে একেবারে ম্যানেজ হয় না তা নয়। কিন্তু যেহেতু কোর্ট মনিটরিং সেহেতু আমার হাই রিগার্ড আছে। আমার বিশ্বাস পাঁচ তারিখে তারা যখন স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে সুপ্রিম কোর্টে তারা আসল সত্যতা বলতে পারবে। এবং তাতে একজন যুক্ত না একাধিক যুক্ত বা সরাসরি কারা বা চক্রান্তকারী কারা এই বিষয়টিও তারা সামনে আনবেন। আর যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পুলিশের হাতে পাঁচ দিন থাকার সময় এভিডেন্স লোপাট হয়ে থাকে সেটাও তারা জানাবেন। একটু ওয়েট করা ভাল। যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট মনিটরিং করছে।’

এদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও বিচারের দাবিতে কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার মিছিল করতে দেখা গেছে। এরপর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিবিআই এর উপর বিন্দুমাত্র আস্থা নেই আমার। কিন্তু কি করব? তার জন্য সকলকে বলছি বিচার চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন সিবিআইয়ের উপর সব ফেলে নিজে বাঁচতে। আমরা সেটার পক্ষে নই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মনে করেন হাইকোর্টে এফিডেভিট করে বলতে পারেন আমাকে ১০ দিন সময় দেওয়া হোক আমি সব বার করে দিচ্ছি। একদিকে তথ্য প্রমাণ লোপাট করব আর অন্যদিকে সিবিআই এর ঘাড়ে দোষ দেব দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না। আমরা বিচারব্যবস্থা নিরীক্ষণে তদন্ত হচ্ছে তার ওপর ভরসা রাখছি। এই জনতার চাপে যদি কিছু বার হয় তাই আন্দোলনে সামিল হয়েছি।’ অন্যদিকে আবার সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়াতে সাধারণ মানুষের সই সংগ্রহ করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + 12 =