কুণালের পোস্টে বিরাট অস্বস্তিতে শাসক শিবির

কুণালের পোস্টে বিরাট অস্বস্তিতে শাসক শিবির। সোশ্যাল মাধ্যমে ফের প্রশাসনের একাংশকে নিশানা করে এক পোস্ট করতে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে কুণাল লেখেন, ‘প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপকে মানুষ ভুল বুঝেছেন, সেখান থেকে বিরক্তি, অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তাই নাগরিকদের পথে নামতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপে এই পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্বও সরকারের।’ সঙ্গে এ প্রশ্নও তুলেছেন, ‘প্রশাসন এমন কোনও কাজ করবে কেন যে অবস্থা সামলাতে শাসকদলকেও বিচার চাই বলে কর্মসূচি নিতে হবে? তাও দলের সবাই সমানভাবে নামেন না।’ কুণালের এই পোস্ট নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, আরজি করে তিলোত্তমা খুন-ধর্ষণের ঘটনার পর যে গোটা ঘাসফুল শিবিরে আড়াআড়ি বিভাজন দেখা যাচ্ছে তা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের এক বড় অংশ। এক শিবিরের দাবি, প্রশাসনের কিছু ভুল পদক্ষেপের কারণেই দিনে দিনে বাড়ছে জনরোষ। এবার কুণালের নতুন পোস্ট দেখে অনেকেই মনে করছেন শাসকদলের সমালোচনা তৃণমূলেরই যাঁরা করছেন সেই শিবিরেই রয়েছেন কুণাল। কারণ, এর আগেও দেখা গেছে, তদন্তে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন সুখেন্দ শেখর রায়ের মতো সাংসদরাও। এরপর তাঁকে তলবও করা হয় লালবাজার থেকে। এদিকে শুরু থেকেই আরজি করের নানা ইস্যুতে একের পর এক পোস্ট করে গিয়েছেন কুণাল। রাজনৈতিক মহল থেকে সেলিব্রিটিদের ‘দায়-দায়িত্বের’ কথাও মনে করাতে গিয়ে জড়িয়েছেন বিতর্কে।

কুণালের গলায় আত্মসমালোচনার সুর শোনা গেলেও খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলছেন, ‘কুণাল ঘোষও কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাইছেন? উনি তো নিজে বলছেন শাসক এমন কাজ বারবার করবে কেন! আসলে কুণাল ঘোষের মতো লোকেরা কখন কাকে খোঁচা দেয়, কখন কাকে চুমু খায় তা বোঝা বড় দায়। অর্থাৎ একে নিয়ে কথা বলাই মুশকিল।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + fifteen =