চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট

রাজ্যের সব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ কেন তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি জেলা আদলতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের মামলাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় আদালতকে। পশ্চিমবঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ার থেকে শুরু করে পুরসভা, সব ক্ষেত্রেই প্রচুর কন্ট্রাকচুয়াল বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়। গোটা দেশে এমনটা আর কোথাও হয় না বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

বিভিন্ন দফতরে শূন্যপদে নিয়োগ বন্ধ রেখে কেন অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে আগেও। এবার অস্থায়ী নিয়োগ সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাজ্য সরকার সব সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য এভাবে নিয়োগ বন্ধ রাখতে পারে না।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, হাইকোর্টের কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রোপোজাল পাঠানো হলেও, তার কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

আদালতের প্রশ্ন, সব ক্ষেত্রে এভাবে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হলে, কাজের সময় ঠিক বা ভুলের দায় কে নেবেন? প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত কাজ করছেন। বেতন ১৪ হাজার টাকা! এমন হলে কীভাবে সম্ভব? কিছু পিডব্লুডি কর্মী স্থায়ী কাজ করতে আসেন, তাদের চিঠির কালি শুকনোর আগেই ঠিকাদার তাদের বের করে দিয়েছে।’ স্থায়ী পোস্টে অস্থায়ী ইংলিশ স্টেনোগ্রাফার, পিওন সহ অন্যান্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় চুক্তিভিত্তিতে আদালতের কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য। ওই বিজ্ঞপ্তিতে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ ওই নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চ দ্বারস্থ হয় রাজ্য।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 1 =