তিলোত্তমা কাণ্ডের পর বারবার প্রশ্ন উঠেছে সররকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে। মঙ্গলবার এই ইস্যুতেই ন লালবাজারে হয় এক বৈঠক। এই বৈঠকে অংশ নিতে দেখা যায় এসএসকেএম, নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ-হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ-হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ-হাসপাতাল, এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল, আরজিকর মেডিকেল কলেজ-হাসপাতালের কর্তাদের। বৈঠকের নির্যাস কী বের হয় সেদিকে নজর ছিল সব মহলেরই। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এই বৈঠকে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অশেষ বিশ্বাস।
তিলোত্তমা কাণ্ডের পর শহরের সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা কীভাবে আরও জোরদার করা যায় তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লালবাজারের কর্তারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ চেয়ে নেন। কীভাবে নিরাপত্তাকে আরও বাড়ানো যায় বা কোথায় কোথায় এখনও খামতি রয়ে গিয়েছে, নিরাপত্তাকে কিভাবে আরও জোরদার করা যায় সে বিষয়ে চাওয়া হয় পরামর্শ।
বিশেষ করে রাতের দিকে হাসপাতালে কতজন নিরাপত্তারক্ষী থাকে, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা আদৌও রয়েছে কিনা, থাকলে সেগুলির মধ্যে কতগুলি সক্রিয় রয়েছে, তিলোত্তমা কাণ্ডের পর নিষ্ক্রিয় থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা গুলি মেরামত করা সম্ভব হয়েছে কিনা, বহিরাগতদের আনাগোনা আটকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এই ধরনের বিভিন্ন বিষয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে খবর।
এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল হাসপাতালগুলির পুলিশ পোস্ট। সেখানেও পুলিশকর্মী বাড়ানোর কথা এদিনের বৈঠকে উঠে এসেছে বলে সূত্রে খবর। একইসঙ্গে রাতের হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, রোগীদের পরিজনদের ঠিকমতো থাকার ব্যবস্থা, চিকিৎসকদের বিশ্রাম কক্ষ এবং সেমিনার কক্ষের মতো আশ্বাস গুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা কথাও এদিনের বৈঠকে উঠে আসে।