আরও চাপ বাড়ল বিনীত গোয়েলের। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলের অপসারণ চেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ আইনজীবী। ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছেন নগরপাল। কারণ, তিনি মৃত চিকিত্সকের নাম প্রকাশ করেছেন। পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানো হোক তাঁকে’, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই আইনজীবী। আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে কাল জানান। দেখা যাক সুপ্রিম কোর্টে কী হয়। তারপর আবার জানাবেন। কালকের দিনটা দেখুন।’ এদিকে আবার ‘ ১২ ও ১৪ তারিখের ঘটনায় পুলিশি ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন পুলিশ কমিশনার স্বয়ং। সিপি-র পদত্যাগের দাবিতে লালবাজারে ডেপুটেশন জমা দিয়ে বেরিয়ে এসে এমনটাই জানায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। একইসঙ্গে তাঁরা জানান, আপাতত লালবাজার থেকে ডাক্তারদের অবস্থান উঠলেও, আন্দোলন চলবে। তাঁরা জানান, ‘সিপি-র পদত্যাগ চেয়ে আমরা ডেপুটেশন দিয়েছি। আমরা সিপি-র কাছে ৫ দফা দাবি জানিয়েছি। যার সিপি-র কাছে কোনও সদর্থক উত্তর মেলেনি। উনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট বলে দাবি সিপি-র। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে পদত্যাগেও রাজি সিপি। সিপি-র পদত্যাগের দাবিতে আমরা এখনও অনড়।’
সোমবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। প্রতীকী মেরুদণ্ড আর গোলাপ নিয়ে মিছিল শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দুপুর ২টো থেকে শুরু হয় মিছিল। মিছিলের জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। বউবাজারেও ছিল বজ্র আঁটুনি। মিছিল রুখতে লাঠি-ঢাল, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে প্রস্তুত ছিল পুলিশ। ফিয়ার্স লেনে দেখা যায় ৯ ফুটের উঁচু ব্যারিকেডও। লালবাজার কার্যত দুর্গের রূপ নেয়। তবে লালবাজার পৌঁছানোর অনেক আগেই বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তারপর সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। রাতভর অবস্থান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। টানা ২২ ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভের পর মঙ্গলবার দুপুরে ব্যারিকেড খুলে দেয় পুলিশ। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দলকে লালবাজারে গিয়ে দেখা করার অনুমতি দেয় পুলিশ। এরপরই জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজারে গিয়ে সিপি-র কাছে সিপি-র পদত্যাগের দাবিতে ডেপুটেশন জমা দেয়।