আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। হাসপাতালের বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে মর্গ থেকে দেহ পাচার- একাধিক অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিকে এই সন্দীপ ঘোষ নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হতেই আরও নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্তে রয়েছেন খোদ সন্দীপ ঘোষই।
আরজি কর মামলার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পরই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সকালে সন্দীপের বাড়িতে ঢুকেছিলেন আধিকারিকরা, সন্ধ্যায় পোটলা বেঁধে নথি নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। এই সব নথি ঘেঁটে সিবিআইয়ের হাতে অনেক তথ্যই আসে। এরপরই সিবিআই দাবি করে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ জমা পড়ত, সেইসব অভিযোগপত্রের আসল কপি মিলেছে সন্দীপের বাড়িতে। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে, যে নথি থাকার কথা হাসপাতালে, সেই নথি সন্দীপের বাড়িতে কেন তা নিয়ে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত আটকাতেই অভিযোগের কপি বাড়িতে লুকিয়ে রাখতেন সন্দীপ। সন্দীপের বাড়িতে মিলেছে এনকোয়ারি রিপোর্টের কপিও। সিবিআই মনে করছে, তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়তেও দিতেন না সন্দীপ। এই বিষয়টি মঙ্গলবারই আলিপুর আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।
আরজি করের ছত্রে ছত্রে যে দুর্নীতি রয়েছে, তা মামলা চলাকালীন নির্দেশনামায় উল্লেখ করছেন আলিপুর আদালতের বিচারক। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, আরজি করের দুর্নীতি ‘বিগ স্ক্যাম’। মঙ্গলবারই বিচারক নির্দেশনামায় লিখেছেন, ‘কেস ডায়েরি যত্ন সহকারে খুঁটিয়ে পড়ার পর বোঝা যাচ্ছে এই কেস একটি বড় স্ক্যাম। এজেন্সিকে এই দুর্নীতির মানি ট্রেল ও কীভাবে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে।’
এক বছর আগে আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার নন মেডিক্যাল আখতার আলি আঙুল তুলেছিলেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের মর্গ থেকে শুরু করে বর্জ্য পাচার-সবতেই দুর্নীতির একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে সন্দীপের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন প্রশাসনিক শাখার অভিযোগ করেছিলেন আখতার আলি। আরজি করে ধর্ষণ করে খুনের মামলার তদন্তে সেই বিষয়গুলো নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।