৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষের ট্রেইনি ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ। অভিযোগ ওঠে ধর্ষণ-খুনের। তারপর থেকেই আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল সারা বাংলা। এরই সঙ্গে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে দিনের পর দিন ধরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চলে আসা একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। বিচারের দাবিতে সোচ্চার সারা রাজ্যের মানুষ। এমনকি প্রতিবাদ রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশ, বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার জেরে অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন সন্দীপ ঘোষ। এরপর তাকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতারও করেছে সিবিআই। এসবের মধ্যেই আরজি করের আঙিনায় আজ নতুন ‘স্বপ্নদূতরা’! যাঁদের চোখেডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন! সেই ‘স্বপ্ন’ চোখে নিয়েই আর জি কর মেডিক্যালে এসেছে ওরা। এসেছে ওদের অভিভাবকরাও। অভিভাবকদের বুক একটু দুরু দুরু।যদিও তারা অভিভাবকদের ভরসা জোগাচ্ছে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা দেখার।
বিতর্কের আবহের মধ্যেই বুধবার থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পাঠ্যক্রমের প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু হয়েছে। আরজি করের ঘটনা নিয়ে হবু ডাক্তারদের বক্তব্য, ‘ক্যাম্পাসিংয়ের পর আরজি করে সুযোগ মিলেছে। অনেক স্বপ্ন দেখার পর, তারপরই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নপূরণের জার্নি শুরু হয়।’ ওদিকে ছেলে-মেয়ে ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়ায়, একদিকে যেমন বাবা-মায়েদের মনে আনন্দ রয়েছে, তেমনই আবার অভিভাবকদের মধ্যে শঙ্কাও রয়েছে! কী হবে? সব ঠিক থাকবে তো? বিশেষ করে যাদের মেয়েরা আরজি করে পড়তে আসছেন!
সেইসব মায়েরা একদিকে যেমন নিজেদেরকে নিজেরা সাহস দিতে ব্যস্ত, তেমনই আবার সাহস জোগাচ্ছেন মেয়েকেও। আবার যেসব ছেলেরা আরজি করে এমবিবিএস-এ সুযোগ পেয়েছেন, তাদের বাবা-মাদের আবার অন্য চিন্তা! তাঁদের একটাই আকাঙ্খা, একটাই বাসনা, ছেলে ভালো ডাক্তার হয়ে মানুষের জন্য কাজ করুক। কোনও দুর্নীতিতে যেন জড়িয়ে না পড়ে!