‘স্কুলের তরফ থেকে আন্দোলন করতেই পারেন, কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু স্কুল চলাকালীন না করলেই হল।’ আরজি কর কাণ্ডের আবহে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এর পাশাপাশি উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রাত্য বসুর জবাব, ‘আমাদের দিক থেকে যা করার আমরা সব কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছি। এবার পুরোটাই নির্ভর করছে বিচারকের ওপর। রাজ্যপাল প্রেরিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যারা বসে আছেন কেয়ারটেকার, আমি তাদেরকে বলব আপনারা ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর জন্য উদ্যোগ নিন। র্যাগিং থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মিছিলের কারণে হাওড়া জেলার তিনটি স্কুলকে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা দফতর। জেলা স্কুল পরিদর্শকের পাঠানো ওই নোটিসে অভিযোগ করা হয়েছে, পঠন-পাঠনের সময় পড়ুয়াদের নিয়ে মিছিল সংগঠিত হয়েছে যা শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের সমান। নোটিস পাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, মিছিলটি স্কুল ছুটির পরে সংগঠিত হয়েছিল এবং কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী এতে অংশ নেননি। এই ঘটনাতেও সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এরই মাঝে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয় যে, স্কুলের বাইরে কোনওরকম কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না পড়ুয়ারা। শুধুমাত্র স্কুলশিক্ষা দফতরের আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানেই তারা যোগ দিতে পারবে। আর সেই নির্দেশিকা নিয়ে যেমন সমালোচনায় মুখর হয় শিক্ষক মহল।