২ সেপ্টেম্বর থেকে সিবিআই হেফাজতে সন্দীপ ঘোষ। আর্থিক অনিয়মের তদন্তে গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধক্ষ্যকে। এরপর থেকে নিজাম প্যালেসের ১৪ তলার এমএসও বিল্ডিংয়ে কীভাবে সারাদিন-রাত কাটছে সন্দীপের।
সূত্রের খবর, সিবিআই হেফাজতে জোরদার নিরাপত্তা তার সেলের বাইরে। চারজন সিআরপিএফ মোতায়েন রয়েছে। তবে কিছুটা অস্থির এবং চিন্তায় রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। ঘুম নেই চোখে। সারারাত প্রায় জেগেই কাটাচ্ছেন। অন্তত ৭ দিন অর্থাত্ ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতেই থাকতে হবে তাকে। তবে আধিকারকিদের মতে, এটা স্বাভাবিক যে কখনও হেফাজতে বা জেলে সময় কাটায়নি তার মানিয়ে নিতে সময় লাগবে।
সোমবার তার গ্রেফতারের পরপরই সন্দীপ ঘোষ কালীপুজোর কথা উল্লেখ করে নিরামিষ খাবারের অনুরোধ করেছিলেন। সূত্রের খবর, কলকাতার বেলিয়াঘাটায় তাঁর বাড়ির কাছে একটি বালাজি মন্দিরে তিনি নিয়মিত দর্শনার্থী। তাঁর অনুরোধ মেনে নিরামিষ খাবারই দেওয়া হয়েছিল। পরে অন্য তিন অভিযুক্তের সঙ্গে সন্দীপেরও মেডিক্যাল টেস্ট হয়। সূত্রের খবর, আদালত থেকে ফিরে চুপচাপই রয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এমনকী সে রাতেও ঘুম হয়নি তার।
পরদিন সকালে চা-বিস্কুট এবং প্রাতঃরাশ সারার পর তিন অফিসার জেরা শুরু করে। দুপুরের খাওয়ার আগে পর্যন্ত তা চলে। সূত্রের খবর, জেরায় আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে সন্দীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, সন্দীপের বিরুদ্ধে গবেষণার জন্য অবৈধভাবে মৃতদেহ ব্যবহার, বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের অননুমোদিত বিক্রয় এবং যথাযথ দরপত্র ছাড়াই ঠিকাদারি দেওয়ার মতো বেশ কয়েকটি আর্থিক অনিয়ম সহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।