প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি সংক্রান্ত মামলার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হতে পারে ১০ সেপ্টেম্বর। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল উচ্চ আদালত। এরপর এই মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, এই মামলায় যুক্ত রাজ্য, এসএসসি, মূল মামলাকারী, চাকরিহারা এবং সিবিআই-এর বক্তব্য শোনা হবে। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
চলতি বছর এপ্রিল মাসে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয়। ফলে এই নির্দেশের জেরে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সুপার নিউমেরিক পদ বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছিল। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম এবং দশম শ্রেণি, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছিল।
এরপর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না। যদি যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথক করা সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে গোটা প্যানেল বাতিল করা ঠিক হবে না।’
এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘রাজ্য সমস্ত ধরনের আইনি লড়াই করবে।’ অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে এসে নরেন্দ্র মোদী কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা ‘যোগ্য প্রার্থী’-দের আইনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। রাজ্য বিজেপির লিগ্যাল সেলকে এই নিয়ে পদক্ষেপ করার কথা বলেছিলেন তিনি। আপাতত সুপ্রিম কোর্টেই ভাগ্য ঝুলে এই ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর।