আরজি করে তরুণী চিকিৎসকে মৃত্যু-রহস্যের কিনারা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে উঠে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে একের পর এক সূত্র পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। প্রভাব-প্রতিপত্তি তো ছিলই, সেই সঙ্গে বড় দুর্নীতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর। এবার সেই দুর্নীতে নাম জড়াল তিন ব্যবসায়ীর।
এই তালিকায় রয়েছে বিধান নগরের স্বপন সাহা, হুগলির কুণাল রায় এবং গৌতম সেনের নাম। ইডি সূত্রের খবর, এই তিনজনই একটির বেশি সংস্থার ডিরেক্টর বলে পরিচিত। ‘ওরিয়েন্ট এক্সপোর্ট’ নামে একটি সংস্থায় তিনজনই ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন। এছাড়াও এই তিনজনের আলাদা আলাদা সংস্থা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
এই সংস্থার সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতির সম্পর্ক কি ভাবে তৈরি হয়েছে বা যোগসাজশই বা কোথায় তার খোঁজ করতে গিয়ে সামনে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। সূত্রের খবর, এই সংস্থাগুলোর মাধ্যমে মেডিক্যাল ওয়েস্ট কেনাবেচা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ থাকাকালীন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল ওয়েস্ট বা বর্জ্য পদার্থ পাচার করা হত বলে অভিযোগ। সেই সূত্রেই এই তিনজনের হদিশ পেয়েছে ইডি।
শুক্রবার স্বপন সাহার সল্টলেকের বিই ব্লকের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। বাড়ির চারটি গাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। ব্যবসা এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া সল্টলেকের বিএ ব্লকে স্বপন সাহার আরও একটি সম্পত্তির হদিশ তদন্তকারী আধিকারিকরা। অন্যদিকে ক্যাম্যাক স্ট্রিটের অফিসেও চলছে তল্লাশি। ওই ঠিকানায় ওরিয়েন্ট এক্সপোর্ট ছাড়াও, ক্রিসেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাইভেট লিমিটেড সহ আরও কয়েকটি সংস্থার নাম পাওয়া যাচ্ছে, যার ডিরেক্টর এই তিনজন।