তিলোত্তমা হত্যার বিচার চেয়ে হওয়া আন্দোলনের অভিমুখ ক্রমেই বদলে যাচ্ছে এমনটাই ধারনা বিজেপি নেতৃত্বের। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে প্রশ্নও তুলে দিতে দেখা গেল প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ-বিধায়ক দিলীপ ঘোষকে। একই সঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এ প্রশ্নও তুলে দিলেন, সমাজ মাধ্যমে একটি আরজি কর বিচার মঞ্চের ভিডিও পোস্ট করে। যেখানে দেখা যাচ্ছে স্লোগান উঠেছে আজাদির। কেন মনুবাদ থেকে আজাদি এই স্লোগান উঠবে, সেই প্রশ্ন তুলেই দিলীপের মতো বিজেপির বর্ষীয়ান নেতাদের ধারনা, এই আন্দোলন অতি বামেদের হাতে চলে যাচ্ছে। এমনকি, আন্দোলনের জোয়ার, কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগের জেরে যখন অস্বস্তিতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় এই ধরনের স্লোগান তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে অক্সিজেন যোগাবে বলেই মত তাঁর।
যদিও এই আন্দোলনকারীদের মতে, মহিলাদের নারী সুরক্ষায়, নারী স্বাধীনতা বিজেপির ভূমিকা শূন্য। নারী স্বাধীনতার দাবিতে এই আন্দোলন। ফলে সব রাজনৈতিক দলের ভূমিকাই সামনে এসে পড়ছে। সেখানে তৃণমূল এবং বিজেপি একই মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ। তাই সব ক্ষেত্রেই বিচার চাইছেন তাঁরা। এর সঙ্গে আন্দোলনের অভিমুখের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁরা নারীদের স্বাধীনতা চায় না।
অন্যদিকে রাজনীতির কারবারিদের একটা বড় অংশের মতে, এভাবে আন্দোলনের অভিমুখ নিয়ে যত বিরোধীরা একে অপরকে দোষারোপ করবে। ভূমিকা কাটাছেঁড়া করবে, তত শাসক শিবিরের স্বস্তি বাড়বে। আশাবাদী হবেন আন্দোলন কিছুটা থিতিয়ে যাওয়া নিয়ে। এদিকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে আরজি কর মামলার শুনানি। তার আগে ফের দেওয়া হয়েছে রাত দখলের ডাক।