আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে টানা আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ভবনের এক নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। যে নির্দেশিকা ঘিরে জল্পনা বেড়েছে। এই নির্দেশিকায় রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও), সিনিয়র রেসিডেন্ট(এসআর) চিকিৎসকদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পর আচমকা স্বাস্থ্য ভবনের এই পদক্ষেপে উঠছে প্রশ্ন।
স্বাস্থ্য ভবনের তরফে পাঠানো নির্দেশিকায় আরএমও এবং এসআর চিকিৎসকদের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ফোন নম্বর, আধার এবং প্যান কার্ড নম্বর চাওয়া হয়েছে। তাঁদের উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত নথিও চেয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। এই নির্দেশিকার কপি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফিনান্স আধিকারিকের কাছেও পাঠানো হয়েছে। আরএমও এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের এই পোস্ট নন-প্র্যাক্টিসিং পোস্ট, অর্থাৎ এই পোস্টে থাকা চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের এই তথ্যগুলি যত দ্রুত সম্ভব পাঠাতে বলা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে।
গত ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে এক জুনিয়র ডাক্তারের দেহ উদ্ধার হয়। ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতির প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আন্দোলন জারিও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ভবনের এই নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসক সংগঠনগুলিও। আন্দোলন দমানোর লক্ষ্যেই স্বাস্থ্য ভবন এই নির্দেশিকা জারি করেছে বলে মন্তব্য করেন জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের (জেডিএফ) তরফে চিকিৎসক অনিকেত মাহাত।