আরজি কর কাণ্ডের নৃশংসতায় থমথম করছে বাংলা। ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পুজো অনুদান একে একে ফিরিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাব ও পুজো কমিটি। সেই প্রবণতাকে উদ্দেশ্য করে অনুদান নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর অনুরোধ, ন্যায়বিচারের সঙ্গে পুজো অনুদান যেন মেশানো না হয়!
কুণাল বলেন, ‘আরজি করের ন্যায়বিচার চাই। অনুরোধ করছি, এর সঙ্গে পুজো অনুদান মেশাবেন না।’ কারণ হিসাবে পুজোর অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কথা বললেন কুণাল। তাঁর কথায়, ‘পুজো অর্থনীতি এতে যুক্ত থাকে। তা সত্ত্বেও কয়েকটি ক্লাব বলছেন অনুদান নেবেন না।’
কুণালের দাবি, মোট ক্লাবের সংখ্যা ৪৫,৫০০ যাঁরা অনুদান পান। তার মধ্যে যে কয়েকটি ক্লাব অনুদান বাতিল করেছে, সেই সংখ্যা ০.১০ শতাংশ। তিনটি ক্লাব নতুন করে অনুদান চেয়ে আবেদন করেছিল হাইকোর্টে, জানান কুণাল। তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সেই তিন ক্লাবকে সংযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এর পাশাপাশি কুণাল এও বলেন, ‘এ দিকে চারটি ক্লাব, এত দিন নেয়নি, এবার অনুদানের জন্য হাইকোর্ট থেকে অনুমতি পেয়েছে সেগুলো হল বাদল পল্লী মহিলা দুর্গোৎসব, বাঁশদ্রোণী কালীতলা পার্ক, নাগরিক সেবা সমিতি এবং নিবেদিতা পার্ক সমিতি।’
প্রতি বছরের মতো এ বারেও জুলাই মাসে পুজো নিয়ে ক্লাবগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছরই পুজোর অনুদান বাড়ানোর ঘোষণা করেন তিনি। অনুদান ৭০ হাজার থেকে বেড়ে ৮৫ হাজার টাকা হল। আগামী বছর আরও বেড়ে ১ লক্ষ টাকা অনুদান পাবে ক্লাবগুলি, ঘোষণা করেছিলেন মমতা। ফায়ার লাইসেন্স-সহ সব মকুব করেছে রাজ্য সরকার।