তিলোত্তমা-কাণ্ডে ফের একবার মোড় ঘোরানো তথ্য। সিবিআই-এর স্ক্যানারে এবার কেবি হস্টেলের নাইট পার্টি। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন রাতে সেই নাইট পার্টির হই-হট্টগোলের আওয়াজ পৌঁছেছিল এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়েও। সেই পার্টিতে কারা-কারা উপস্থিত ছিলেন তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই।
জানা গিয়েছে, ৮ই অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের একাধিক জায়গায় পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। একটি পার্টি হচ্ছিল কেবি হস্টেলের ছাদ। অপর একটি পার্টি হচ্ছিল এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের ফিমেল ওয়ার্ডের ছাদে। সেই ছাদে পার্টিও হয়েছিল বলে খবর। আর সেই হই-হট্টগোলের আওয়াজের জেরে রোগীদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। এদিকে রোগীদের তরফ থেকেও অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, মেইন বয়েজ হস্টেল থেকে তাঁরা পার্টি হওয়ার আওয়াজ পাচ্ছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, হাসপাতালের ভিতর কি আদৌ জোরে বক্স বাজিয়ে পার্টি করা যায় কি না তা নিয়ে। এই তথ্য সন্ধান করতে গিয়ে সিবিআই অর্থোপেডিক বিভাগের কতজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী উপস্থিত ছিলেন তা জানতে ডিউটি রোস্টার চেয়ে পাঠিয়েছে এজেন্সি। এর পাশাপাশি সেখানকার জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান কী ছিল সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা।
সিবিআই জানতে পেরেছে, এই পার্টি আয়োজনের ক্ষেত্রে অর্থোপেডিক বিভাগের জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের যোগ ছিল। দ্বিতীয়, সন্দীপ ঘোষ নিজেও অর্থোপেডিক সার্জেন্ট। সেই ক্ষেত্রে দুটো বিষয়কে দুয়ে-দুয়ে চার করতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাই চেস্ট মেডিসিন বিভাগ ছাড়াও অর্থোপেডিক বিভাগের ডিউটি রোস্টার চেয়েছে সিবিআই।
তবে এখানেই শেষ নয়, আগেই প্রশ্ন উঠছিল ঘটনার অকুস্থল কি সেমিনার রুম কি না তা নিয়েও। যদি তা না হয়, তাহলে কোথায় ঘটনাস্থল হতে পারে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। অপরাধী অপরাধ ঘটানোর পর কোন-কোন প্রস্থান গেট ব্যবহার করেছে বা সেখানে কি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজর রয়েছে সে দিকেও। সিবিআই এর নজরে রয়েছে এমডিআর বিভাগ (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স ইউনিট) কারণ সেখানে লিফট রয়েছে। তবে সেই লিফট সচরাচর ব্যবহার হয় না। এই লিফটে করে ৮ তলায় যাওয়া যায়। যেখানে ওটি রুম রয়েছে। যে ওটি রুমের চাবি থাকে কর্তৃপক্ষের কাছে। ফলত, এই ঘটনা ঘটার পর সেই লিফট ব্যবহার হয়েছিল কি না তাও জানতে চায় তদন্তকারী সংস্থা।