আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। দ্রুত বিচারের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ, কর্মবিরতি পালন করছেন গত কয়েকদিন ধরে। এমনই এক পরিস্থিতিতে হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের আরজি করে মৃত্যু ঘিরে এক অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। শুক্রবার আরজি করে ওই যুবকের মৃত্যুর পর এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও বিনা চিকিৎসায় ওই যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ তুলতে দেখা যায় অভিষেককে। এবার অভিষেকের সেই পোস্টের জবাব দিলেন চিকিৎসকরা। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ খারিজ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিলেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস। অভিষেককে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলল চিকিৎসকদের এই সংগঠন।
রবিবার জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরসের তরফে অভিষেককে পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আপনি ৬ সেপ্টেম্বর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন যে আরজি করের বিক্ষোভের জেরে কোন্নগরের এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় কোনও চিকিৎসা ছাড়াই ৩ ঘণ্টা পড়েছিলেন। বাস্তবে, সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টায় ওই যুবকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। আপনার ভিত্তিহীন দাবির জন্য চিকিৎসকরা বিপদে পড়তে পারেন। অযাচিত হিংসাকে উস্কে দিতে পারে। আমাদের দাবি, নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আপনার এই ভুল তথ্য প্রত্যাহার করুন।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার হুগলির কোন্নগরের বিক্রম ভট্টাচার্য নামে এক যুবক দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিলেন। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। অভিযোগ, সেখানে বিনা চিকিৎসায় তিন ঘণ্টা পড়েছিলেন বিক্রম। অভিষেকের আগে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, ‘সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ওই যুবক পড়ে ছিলেন। তারপরও তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।’
কোন্নগরের ওই যুবকের মৃত্যু নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক লিখেছিলেন, ‘৩ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা ছাড়াই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওই যুবক।’ চিকিৎসকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েও এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ন্যায্য। আমি তাঁদের আবেদন জানাই, এমনভাবে প্রতিবাদ করুন যাতে জরুরি পরিষেবা ব্যাহত না হয়।’
এদিকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্য়ুর অভিযোগ খারিজ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস। তারপরই নিঃশর্ত ক্ষমার দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে।