আরজি করে চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তে সিবিআইয়ের তরফ থেকে এবার ডাক পড়ল ঘোলা থানার আইসিকে। কারণ, নির্যাতিতার বাড়ি ঘোলা থানা এলাকায়। পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে আইসি-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জানতে চাওয়া হয়, ঘটনার রাতে তিনি শ্মশান ঘাটে ছিলেন কী না তাও। সঙ্গে এও জিজ্ঞাসা করা হয়, এই ঘটনার খবর কখন তিনি পেয়েছিলেন তা নিয়েও। সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি প্রশ্ন তাঁকে করা হয়, কখন দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় সে ব্যাপারেও।
আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফাতর হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। রবিবার ফের চাঞ্চল্যকর মোড়! ডাক্তার বিরুপাক্ষ বিশ্বাস, ডাক্তার অভিক দে ও ডাক্তার রঞ্জিত সাহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের হল বউবাজার থানায়। পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী অঞ্জন মণ্ডল-সহ আরও বেশ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক অভিযোগ এনেছেন এই তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ওই জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত তিন ডাক্তার ভয় দেখাচ্ছিলেন তাঁদের। এই মর্মেই বৌবাজার থানা এফআইআর দায়ের হয়েছে ওই তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, আরজি কর দুর্নীতিতেও টাকা অন্যত্র সরানোর হদিশ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। একাধিক সংস্থা খুলে সরানো হয়েছে দুর্নীতির টাকা, এমনই দাবি ইডির তদন্তকারী অফিসারদের। প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ টি সংস্থার হদিশ মিলেছে বলে খবর। এই সমস্ত সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই টাকা সরেছে অন্যত্র। তদন্তে এমনই ইঙ্গিত পেয়েছে ইডি।
শুক্রবার তল্লাশি অভিযানে এহেন সংস্থার সন্ধানও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নিকটতম আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে সংস্থা খুলে টাকা সরানোর অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ওই সংস্থাগুলোর একাধিক ডিরেক্টরের নামও পেয়েছে ইডি।