সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি করের নির্যাতিতার ছবি এবং পরিচয় প্রকাশ নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। এই প্রসঙ্গে অনেকে উল্লেখও করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন। নির্যাতিতার বাবা-মাও তাঁদের মেয়ের নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার আবেদন জানান। কিন্তু তা সত্ত্বেও সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি করের নির্যাতিতার ছবি শেয়ার ঠেকানো যায়নি। এবার এই প্রসঙ্গে কড়া পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। এ দিন প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, নির্যাতিতার দেহের ছবি দেখা যাচ্ছে এ ধরনের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মুছে ফেলতে হবে। উল্লেখ্য, মেয়ের ছবি যাতে সোশ্যাল মিডিয়া বা কোনও পোস্টারে ব্যবহার করা না হয় সেই জন্য বারবার আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মাও। কিন্তু তা সত্ত্বেও যাবতীয় নিয়ম কানুনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিছু মানুষজন নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বলে অভিযোগ। বাদ যায়নি তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনাও। এবার এই নিয়ে কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট।
গত ২০ অগাস্টও নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টকে। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এও বলেছিলেন, ‘এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। তরুণীকে এই মর্যাদা দেওয়া উচিত।’ শুধু সুপ্রিম কোর্ট নয়, কোনওভাবেই নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ্যে আনা যাবে না, সেই বিষয়ে সতর্ক করেছিল কলকাতা হাইকোর্টও। নির্যাতিতার ছবি সামনে আনলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে সতর্কও করা হয়।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয, এর আগে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক একটি নির্দেশ দেয়। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়, আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতা চিকিৎসক তরুণীর ছবি, নাম-পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। এর মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।