আরজি করের চিকিৎসক তরুণীর ভয়াবহ খুনের ঘটনা একমাস অতিক্রান্ত। এখনও সে ভাবে কোনও গ্রেফতারি বা আটক না হলেও সিবিআই তদন্তে প্রকাশ্যে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এবার প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন। সিবিআইয়ের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছিল সন্দীপ ঘোষের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন। ৮ অগাস্ট অর্থাৎ যেদিন রাতে এই নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে সেদিন কোথায় ছিলেন সন্দীপ তার উত্তর খুঁজতে সিবিআইয়ের নজরে এবার ‘নমিতা সেবায়াতন’!
সূত্রের খবর, আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন বলছে ঘটনার দিন বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন একটি এলাকায় ছিল সন্দীপের মোবাইল। সন্দীপের মোবাইল পরীক্ষা করে টাওয়ার লোকেশনে বার বার বিশেষত শেষ কয়েক মাস মিলেছে বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকার ওই লোকেশনেই।
জানা যাচ্ছে ওখানেই নিয়মিত প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালাতেন এই সন্দীপ ঘোষ। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও প্রতি বৃহস্পতিবার সন্দীপ ঘোষ বেআইনি ভাবে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করতেন অন্তত এমনাটই জানা যাচ্ছে সিবিআইয়ের দাবিতে। সঙ্গে মিলেছে নানা লিফলেট ও বিজ্ঞপ্তিও।
এরই পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে হাজারো। আর জি করের ঘটনার দিন ৮ অগাস্ট ঠিক কতক্ষণ ছিলেন সেখানে সন্দীপ ঘোষ অর্থাৎ দেহ উদ্ধারের আগের দিন কতক্ষণ ওই চেম্বারে ছিলেন আরজি কর প্রাক্তন অধ্যক্ষ তা জানতে চান সিবিআই আধিকারিকেরা। প্রশ্ন উঠেছে কত বছর ধরে তিনি বেনিয়ম করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন তা নিয়েও। আর এই তথ্য খুঁজতে গিয়ে আঙুল উঠছে নমিতা সেবায়তনের কর্তৃপক্ষর ভূমিকা নিয়েও। কেন নমিতা সেবায়তন ইনচার্জ সন্দীপ ঘোষকে আড়ালের চেষ্টা করছেন প্রশ্ন উঠেছে সেখানেও। বেনিয়ম করে তিনি যে বসতেন তাতে কী মদত ছিল এই নমিতা সেবায়তনের তাও খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার আদালতে সন্দীপকে হাজির করাবে সিবিআই, কী নির্দেশ দেবেন আলিপুরের বিচারক সেদিকে তাকিয়ে সবাই।