আরজি করের ঘটনায় এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তিলোত্তমার বিশেষ এক বন্ধুর। তিলোত্তমার বিশেষ ওই বন্ধু তথা চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, তাই অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি। তবে তাড়াহুড়ো যে হয়েছিল, সে কথা বলছেন তিনিও। তিনি জানান, সেই রাতে টালা থানায় এফআইআর করার সময় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তিলোত্তমার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন সেখানে। এক প্রতিবেশী এফআইআর লিখছিলেন। এই এফআইআর লেখার সময়েই তিনজন যুবক থানায় হাজির হয়েছিলেন বলে জানান তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধু। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘তিনজন ছেলে এসেছিলেন থানায়। বলেছিলেন, ‘আরজি কর থেকে আসছি। এফআইআর-টা আমরা দেখতে চাই।’ আমার বন্ধুরা তাঁদের আটকায়। বলা হয়, এখন এফআইআর দেখা যাবে না। ওরা বলেছিল, আরজি কর থেকে সাহায্য করতে এসেছি। দীর্ঘ সময় বসেছিল টালা থানায়। আমরা চলে আসা পর্যন্ত তারা বসেছিল।” এই তিন যুবক কারা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে ওই চিকিৎসকের দাবি, বিষয়টা বিচারাধীন, তাই এই বিষয়ে মন্তব্য করবেন না।
পাশাপাশি, তিনি এও দাবি করেন, ক্রাইম সিন সে দিন ঘিরে রাখা ছিল না। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘তখন কী ঘটছে, তা দেখতে পারিনি। পরে ছবি দেখেছি। তবে ক্রাইম সিন ঘেরা ছিল না। পুলিশ ছিল। আমি ভিতরে এক মিনিট থেকে চলে আসি।’
এর পাশাপাশি ময়নাতদন্তের সময় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিলোত্তমার বন্ধু। এদিকে সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্ন উঠেছে, কেন সন্ধ্যার পর ময়নাতদন্ত হল তা নিয়েও। তিলোত্তমার ওই বন্ধু এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আমার যতটুকু জ্ঞান তাতে, অন্ধকার হয়ে গেলে কালার চেঞ্জগুলো বোঝা যায় না। শরীরে বিষ থাকলে, যদি শরীরের বিশেষ অংশের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে তা ধরা যায় না। তাই সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত করা হয় না।’
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধু তাঁর সম্পর্কে বলেন, ‘বাইরের মেডিক্যাল কলেজে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। তাই বলতে পারি, একেবারে বাইরের লোক হাসপাতালে ঢুকে এটা ঘটাবে, ভাবতে খুব আশ্চর্য লাগছে।’