আরজি কর দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালিয়ে ইডির হাতে এবার নয়া তথ্য। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল সংখ্যায় পরীক্ষার উত্তরপত্রের কপি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ২০০ পাতার উত্তরপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। এই উত্তরপত্রের কপি নিয়ে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ইডি। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে টেন্ডারের কপি, দলিল, সম্পত্তির কাগজপত্রও উদ্ধার করেছে ইডি, দাবি সূত্রের।
আরজি করের দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই এই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। সন্দীপ গ্রেফতার হতেই একের পর এক তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে। শুধু সন্দীপ নন, এই দুর্নীতি মামলায় তাঁর একাধিক আত্মীয় তদন্তকারীদের স্ক্য়ানারে। একাধিকবার সন্দীপের বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি, শ্যালিকার বাড়িতে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষ এবং শ্যালিকা অর্পিতা বেরাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তার আগে শ্যালিকার বাড়িতে প্রায় ১০ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হওয়া একাধিক নথি নিয়ে শ্যালিকাকে এজেন্সির আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি সন্দীপের শ্যালিকার। সেখান থেকেই বিপুল উত্তরপত্র মেলে বলে খবর।
এর আগে শ্যালিকার বাড়ির পাশেই যেখানে সন্দীপের শ্বশুর শাশুড়ি থাকেন, সেখান থেকে একটি কালো ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গত সন্দীপের শ্যালিকাও ইএসআই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ডাক্তার। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার স্বামী এসএসকেএমের একজন ডাক্তার। আর এখানেই প্রশ্ন, এত উত্তরপত্র সেখানে কেন তা নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘কত বড় জালিয়াতি, দুর্নীতি, একে একে সব বেরোচ্ছে। সন্দীপ ঘোষ একা নয়, গোটা পরিবার যুক্ত। প্রথম থেকেই বলছি, এটা একটা সিন্ডিকেট। সন্দীপরা মাঝের অংশ। নিচে কিছু স্যাঙাত আছে, উপরে আছে মাথারা। এই শ্যালিকা আবার দেশছাড়া না হয়ে যান।’