আরজি কর মামলায় তদন্ত বেশ কয়েকদিন হল শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্তে কী উঠে আসছে, সেই রিপোর্টও শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই। কিছুদিন আগে অভিযুক্তের পলিগ্রাফ টেস্টও করা হয়েছে। খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি আদৌ সত্যি কথা বলছেন কি না, তা জানার জন্য ওই পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়। কিন্তু এই পলিগ্রাফ টেস্টে আর থেমে থাকতে চাইছেন না সিবিআই আধিকারিকরা। এবার আরও উন্নতমানের পরীক্ষার ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফ থেকে।
সূত্রে খবর, পলিগ্রাফ টেস্টের পর এবার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নারকো টেস্ট করতে চায় সিবিআই। এই মর্মে শিয়ালদহ কোর্টে আবেদনও জানানো হয়েছে। নারকো টেস্টে এক বিশেষ অবস্থায় অভিযুক্তকে প্রশ্ন করা হয়। তাতে কোনও মিথ্যা কথা বলা যায় না বলেই মত তদন্তকারীদের। আর সেই কারণেই এই পথে হাঁটতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নারকো টেস্টে অভিযুক্তকে অচৈতন্য করা হয়। পলিগ্রাফ টেস্ট হল প্রথম ধাপ। এরপর হয় নারকো টেস্ট, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে নয়ডার একটি সিরিয়াল কিলিং-এর কথা উল্লেখ করেন তাঁরা। সেই ঘটনায় নারকো টেস্ট করাতেই শিশুদের খুনের কথা জানা যায়। নারকো টেস্টের রিপোর্ট আসার পর অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হয়েছিল। তাই নারকো টেস্টে অনেক কিছু সামনে আসতে পারে বলে মনে ধারনা তাঁদের। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, ডাক্তারের উপস্থিতিতে ওই টেস্ট করা হয়। পরীক্ষা করার আগে হার্টের অবস্থা, পালস রেট, রক্তের সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। কোনও সত্য ঘটনা লুকনোর কোনও জায়গাই থাকে না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।