স্বাস্থ্যভবনের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে জুনিয়র চিকিৎসকের দল। এদিকে এই অবস্থান বিক্ষোভে বড়সড় হামলার চক্রান্ত চালাচ্ছে বামেদের একটি যুব সংগঠন এবং অতি বাম একটি সংগঠন,এই দুই সংগঠনের দুই নেতার মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে এমনই দাবি করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করতেই এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। সঙ্গে কুণাল এও দাবি করেন, বৃহস্পতিবার জুনিয়র চিকিৎসকরা যখন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য গিয়েছিলেন, তখনই এই হামলা চালানোর কথা ছিল৷ কিন্তু কোনও কারণে সেই হামলা চালানো সম্ভব হয়নি৷ কুণাল ঘোষের দাবি, যে দুই সংগঠন মিলে এই চক্রান্ত সাজিয়েছে, তাদের সূত্রেই এই অডিও ক্লিপ শাসক দলের হাতে এসেছে৷
‘অডিও-ক্লিপ’ কাণ্ডের পর স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তার খাতিরে তৎপর রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনের কাছে আপাতত ১৪ টা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয় রাতেই। থানাতেই এই সিসিটিভি-র কন্ট্রোলরুম।
উল্লেখ্য,কুণাল ঘোষের প্রকাশ করা এই অডিও ক্লিপে দুই ব্যক্তির কথোপকথন উঠে এসেছে৷ সেখানে প্রথমে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সাহেব অর্ডার করেছে সল্ট লেক ওড়ানোর জন্য৷’ এর পরের কথোপকথনে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি এত বছর এই কাজ করেছি, কোনোদিন ভয়ডর লাগেনি কিন্তু এখন এটাতে বিবেকে লাগছে, করাটা কী ঠিক হবে, ওরা তো লোকের জীবন বাঁচায়। অডিও ক্লিপে বাপ্পা বলে একজনের নামও উঠে এসেছে৷’
এদিকে এই অডিও ক্লিপ সামনে আসার পরই বিধাননগর পুলিশের তরফ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ যাদবপুরের গড়ফা এলাকা থেকে সঞ্জীবকে গ্রেফতার করে বিধাননগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে কুণাল ঘোষ সঙ্গে এও দাবি করছেন, ‘২-৩টে শিবির ভয়ঙ্কর প্লট তৈরি করেছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলতে বাইরের ছেলেদের এনে হামলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’ বামপন্থী যুব সংগঠন ও অতি বামপন্থী এক ব্যক্তির কথাও বলেছেন তিনি। তবে কারও নাম প্রকাশ করেননি। অন্যদিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, যারা এই সব অডিয়ো ভাইরাল করছে,তাদেরও সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত করা উচিত।