তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে গত ১৪ অগাস্ট প্রথম রাত দখলের দিন কাতারে-কাতারে মহিলা থেকে পুরুষ নেমেছিলেন পথে। যে যেমনভাবে পেরেছেন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। রাত দখল কর্মসূচি হয়েছিল আরজি করেও। এরই মাঝে আচমকাই একদল দুষ্কৃতী এসে হামলা করল সেখানে। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতাল। আর এই ঘটনায় বারবার উঠছিল তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ। যে সময় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ওসি পদের দায়িত্ব ছিলেন। তাঁর থানা এলাকাতেই পড়ে আরজি কর হাসপাতাল। কেন আটকানো গেল না সেদিনের ভাঙচুরের ঘটনা বা পুলিশ কেন নিরাপত্তা দিতে পারল না, সেই রকমই উঠছিল হাজার-হাজার প্রশ্ন। এমনকী তৎকালীন ওসি অভিজিতের ভূমিকা নিয়েও উঠেছিল একগুচ্ছ প্রশ্ন। তবে অদ্ভুত সমাপতন হয় এর ঠিক একমাসের মাথায় ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে। এদিনই গ্রেফতার টালার থানার প্রাক্তন অফিসার-ইন-চার্জ।
এ দিন বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, ‘বিনীত গোয়েল বলেছিলেন আমি কেন পদত্যাগ করব। আমি ভাল কাজ করেছি। তবে এবার সিবিআই পোক্ত করে দিল টালা থানার ওসি এবং সন্দীপ ঘোষ তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছেন।’
শনিবার ওসি ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এর আগে সন্দীপকে আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। এবার এই মামলাতেও শ্যোন অ্যারেস্ট করা হল। এই নিয়ে তিলোত্তমার ঘটনার মোট তিনজন গ্রেফতার হলেন।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা প্রথম থেকেই সন্দেহ করেছিল তথ্য প্রমাণ লোপাট হচ্ছে। তার পাশাপাশি তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অনুমান করছিলেন। এমনকী সিবিআই প্রথম থেকেই অভিযোগ করেছিল যে, ঘটনার অকুস্থলে কিছু বদল এসেছে। সেই সময় থেকেই টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ছিলেন গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে। ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের বিষয়টি আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি ও টালা থানাতেই প্রথম জানানো হয়। টালা থানার আধিকারিকরা যান অকুস্থলে। ফলে তাঁদের ভূমিকা ও বক্তব্য এই মামলায় অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ দিন দেখা গেল, তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন প্রাক্তন ওসি।