সীতারামের শূন্য আসনের উত্তরাধিকারী কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রবীণ বাম নেতার প্রয়াণের পর থেকেই প্রশ্নটা ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। আপাতত প্রকাশ কারাট বা বৃন্দা কারাটকে দিয়ে কাজ চালানো হতে পারে বলে সিপিআইএম সূত্রে খবর। পরবর্তী সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে অন্যতম মুখ কেরলের মরিয়ম আলেকজান্ডার বেবি (এম এ বেবি)। একদা কেরলের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। আবার মহিলা মুখ হিসাবে বৃন্দা কারাটের নামও চর্চায় আছে। মহিলা মুখ হিসাবে তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে। একইসঙ্গে জল্পনায় রয়েছে মহম্মদ সেলিমের নামও। তবে কেরল লবির সম্ভাবনা উজ্বল বলে চর্চা রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে। আগামী বছর মাদুরাইয়ে পার্টি কংগ্রেসে সীতারাম ইয়েচুরির মেয়াদ শেষ হত। যে কোনও কমিটির সম্পাদকের মেয়াদ তিনবার। কমিটিতে বয়স সীমা বাঁধার কাজ করেছিলেন এই সীতারাম ইয়েচুরি। সেই নিয়মেই পার্টি কংগ্রেসে মেয়াদ শেষ হত তাঁর।
বাম শিবির সূত্রে খবর, আগামী বছরের পার্টি কংগ্রেসের নতুন সম্পাদক নির্বাচনের আগে পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সম্পাদক বাছাইয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পলিটব্যুরো। সেই সিদ্ধান্ত পাশ করানো হবে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে। সিলমোহর দেবে কেন্দ্রীয় কমিটি। ২০২২ সালে ৬ থেকে ১০ এপ্রিল কেরলের কান্নুরে ২৩ তম পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই নির্বাচিত হয়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। আবার লড়াইয়ে আছেন বি ভি রাঘ ভুলু। অন্ধ্রপ্রদেশের এই নেতা কট্টরপন্থী হিসাবেই দলে পরিচিত। তুলনায় অনেকটাই কিছুটা নরমপন্থী এম এ বেবি।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, সাধারণ সম্পাদক পার্টি কংগ্রেস থেকে বেছে নেওয়া হয়। মতামত নিয়েই যদি ঐক্যমতে না পৌঁছাতে পারেন পার্টি কংগ্রেসের থাকা প্রতিনিধিরা সেক্ষেত্রে ভোটাভুটির প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই ভোটাভুটি সাধারণত এড়ানো হয়। মতামত নিয়েই ঐক্যমতের ভিত্তিতে সাধারণ সম্পাদক বাছাই। ঠিক যেভাবে দলের এরিয়া, জেলা এবং রাজ্য কমিটির সম্পাদক নির্বাচন হয়, তেমনই ভাবে সাধারণ সম্পাদকও বাছাই করা হয়।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন এই প্রথম কারও প্রয়াণ হল। আগামী বছরের এপ্রিলে মেয়াদ শেষ হত সীতারামের। তৃতীয় দফায় সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন ইয়েচুরি। ২০১৫ থেকে আমৃত্যু সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।