শনিবার ভেস্তে যায় কালীঘাটের বৈঠক। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সকালে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ উস্কে দিয়ে কুণাল ঘোষ তাঁর পোস্টে জানান,’এই অডিয়ো কারোর টেলিফোন কথন নয়। এটি ওঁদের মঞ্চে নিজেদের বৈঠকের আলোচনা।’
অডিয়ো-র কথোপকথনে বোঝা যাচ্ছে, আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে দুটো দলে বিভক্ত চিকিৎসকরা। এক পক্ষ আন্দোলন জিইয়ে রাখতে চাইছেন। আরেকপক্ষ বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চাইছে। কুণাল ঘোষ এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছে। যদিও কুণালের পোস্ট করা ভিডিয়ো সম্পর্কে আন্দোলনকারী এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিশ্চয়ই নেব। আমরা আবার জিবি মিটিং অর্থাৎ জেনারেল বডি মিটিং করব। কুণাল ঘোষ কোথা থেকে এই অডিয়ো পেলেন, আমার জানা নেই। আমার কথা হচ্ছে, যেখানে এতগুলো মানুষ রয়েছে, সেখানে মতের অমিল তো হবেই।’
এই প্রথম নয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে এর আগেও একাধিক বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন কুণাল। বুধবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায় হাল্কা হলুদ রংয়ের পোশাক পরে এক মহিলা সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে রয়েছেন। কুণাল প্রশ্ন তোলেন, ‘এটা কোথাকার ছবি? ইনি কে? সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ঘুরছে, তা কি ঠিক? ইনি যদি তিনি হন, তা হলে ইনি এখানে কেন? ইনি এলেন, না ডাকা হল? ডাকা হলে কেন হল? যদি কেউ স্পষ্ট করে ঘটনাস্থল এবং চরিত্রগুলি জানাতে পারেন, পোস্ট করবেন প্লিজ। আমি কনফিউজড।’
এর নবান্নে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালানোর চক্রান্তের অডিও প্রকাশ্যে এনেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তারপরই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট হালতু থেকে একজনকে গ্রেফতার করে। তা নিয়ে আবার কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করেন দীপ্সিতা। সেটিও আবার প্রকাশ্যে আনেন কুণাল ঘোষ। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘অডিয়ো নিয়ে আমাকে বিশেষণসহ গাল দিয়েছেন দেখলাম। অডিয়ো আপনাদের অনেকের কাছেই ছিল, সেখান থেকে লিক। আসল কথা, ওই হামলার ভয়ঙ্কর চক্রান্ত যদি ঠিক হয়, যা এক সংলাপকারী স্বীকারও করেছেন। তারপরেও কথা?’