সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে এবার চিঠি দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। কেন সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হল না তাও এই চিঠিতেই জানতে চেয়েছে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন, এমনটাই সূত্রে খবর।
ওদিকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের বক্তব্য,গত সপ্তাহের শেষ ওয়ার্কিং ডে-তে তাঁরা চিঠি পেয়েছেন। তারপর তিনদিন ছুটি ছিল। ছুটি থাকায় তাঁরা উত্তর দিতে পারেননি। মঙ্গলবারই তাঁরা ওই চিঠির উত্তর দেবেন। এখন সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা না করা প্রসঙ্গে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বক্তব্য, কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে ততক্ষণ তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায় না। কিন্তু কেউ যদি অবাঞ্ছনীয় কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাউন্সিলের পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকতে হয়। আর সেই বৈঠক ডাকার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সভাপতি নেবেন। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগের পর খুন ও ধর্ষণের মামলাতেও গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার টালা থানার তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডল। তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ইচ্ছাকৃতভাবে দেরিতে এফআইআর করার অভিযোগ উঠেছে। আদালতে সিবিআইয়ের বিস্ফোরক দাবি, আরজি কর-কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যান্যদের সঙ্গে মিলে ওই চিকিত্সকের মৃত্যু দেরিতে ঘোষণা করেন। এফআইআর দেরিতে রেজিস্টার করা হয় যাতে ওই ঘটনায় সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করা যায়। পরিকল্পিতভাবেই দেরি করা হয়েছে। এই এফআইআর দেরিতে করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টেও।