আরজি করের ঘটনাকে ‘স্টেট স্পনসর্ড ক্রাইম’ বলে তকমা চিকিৎসকদের একাংশের

আরজি কর কাণ্ডে চাপান উতোর ক্রমশ বাড়ছেই। গত ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ‘তিলোত্তমা’-র দেহ উদ্ধার হয়। এরপর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন শুরু করেন। টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পাশাপাশি বিরোধীদের অভিযোগ, প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এদিকে আবার সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে পৌঁছান আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। আর এমনই এক প্রেক্ষিতে কালীগাটে এই বৈঠকে আগেই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসক ও জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে চিকিৎসকদের  অভিযোগ,‘আরজি করের ঘটনা স্টেট স্পনসর্ড ক্রাইম।’

আরজি করের ঘটনাকে ‘রাজ্যের মদতপুষ্ট অপরাধ’ বলে উল্লেখ করে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সবরকম নৃশংস ঘটনার নিন্দা করছি। কিন্তু, আরজি করের ঘটনা স্টেট স্পনসর্ড ক্রাইম। হেলথ সিন্ডিকেটের ফল এটা। বর্তমান শাসকদলের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এই সিন্ডিকেট চালান।’ প্রায় একইসঙ্গে সুর মিলিয়ে চিকিৎসক সিদ্ধার্থ বলেন, ‘এটা সাধারণ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নয়। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়েছে। যার জেরে এই অপরাধ ঘটেছে। তাই, এই অপরাধ চাপা দিতে এত চেষ্টা হয়েছে। যদি এটা সাধারণ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা হত, তাহলে তা চাপা দিতে এত চেষ্টা হত না।’ কলকাতার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলিকে তাঁরা সমর্থন করেন বলে জানান চিকিৎসকরা।

অন্যদিকে আবার সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলেছিল। কিন্তু, সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেননি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই ইস্যুতে মামলা রয়েছে। তার আগে এদিন জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘আমরাও দ্রুত কাজে যোগ দিতে চাই। কিন্তু, আমরা এখনও হাসপাতালে নিরাপদ মনে করছি না। শুধু সিসিটিভি লাগিয়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যাবে না। যারা আমাদের সহযোগীকে হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, তারা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই আমরা এখনও নিরাপদ বোধ করছি না।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − 2 =