মৌসুমীকে বিদ্রূপ করায় দেবাংশু ও কুণালের বিরুদ্ধে ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

আরজি কর-কাণ্ডে পর পথে নামতে দেখা গেছে বাম ঘেঁষা অভিনেত্রী মৌসুমা ভট্টাচার্যকে। এরপরই মৌসুমী বলেন, ‘কুণাল ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জনগণ যে দিন হাতে পাবেন, সে দিন ওদের কে বাঁচাবে আমি দেখব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু ওদের বাঁচাতে আসবেন না।’

মৌসুমীর এই ভিডিয়োটি নিজের ফেসবুকে ভাগ করে নেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল। সঙ্গে জুড়ে দেন দেবাংশুকে। কুণাল ব্যঙ্গ করে লেখেন, ‘হ্যাঁ রে দেবাংশু, তোর পাত্রী দেখার কাজটা এগোব?’ এরই পাশাপাশি মৌসুমীর পেশা এবং চেহারা নিয়ে কটূক্তি করতে দেখা যায় দেবাংশুকে। তৃণমূল নেতা করা এই মন্তব্যের জেরে সমাজ মাধ্যমে সোচ্চার হন বঙ্গের নানা স্তরের মানুষ। একইসঙ্গে গর্জে উঠতে দেখা যায় রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, সৌরভ পালধিকেও।

নেটাগরিকদের একটা বড় অংশের দাবি মৌসুমীর চেহারা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন দেবাংশু। পরে অবশ্য নিজের পোস্টে ‘বদন বিগড়ে গিয়েছে’ অংশটি মুছে ফেলেন। তবে দেবাংশুকে সমালোচনা করতে ছাড়েননি রাহুল। তিনি লেখেন, ‘এরা দেবে ধর্ষকদের সাজা?’ অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র অবশ্য কুণাল ও দেবাংশুর পোস্টের প্রতিছবি দিয়ে লেখেন, ‘এরাই সুযোগ পেলে ধর্ষক হবে।’ পাশপাশি দেবাংশু বাবা, মা-কে টেনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘কত বড় স্পর্ধা। ওর বাবা-মায়ের লজ্জা হয় না এমন ছেলে জন্ম দিয়ে?’ নাট্যকর্মী সৌরভ পালোধি এই পোস্টের প্রতিছবি দিয়ে লেখেন, ‘দু’জনেই তৈরি থাকুন। সুব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অসভ্যতাকে প্রশ্রয় দেবেন না।’ এই ঘটনার পর মৌসুমী নিজে প্রতিক্রিয়া দিয়ে লেখেন, ‘ একটু যদি পড়াশোনা করতো, হায়রে ভগবান ক্ষমা করে দিও।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + nineteen =