জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে মুখ খুললেন সৌগত

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাড়িতে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারদের অনেক দাবিই পূর্ণ করা হয়েছে। তার পরেও তাদের বক্তব্য কয়েকটি দাবি তাদের পূরণ হয়নি। এর জন্য বুধবার তাঁরা মুখ্য সচিবকে মেইল করেন। এনিয়ে এবার সরব হতে দেখা যায় সৌগতকে। পাশাপাশি কথা বলেন সুখেন্দুশেখর ও জহর সরকারকে নিয়েও।

প্রসঙ্গত,জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, সরিয়ে দিতে হবে স্বাস্থ্য় সচিবকে। তারা এনিয়ে ফের আলোচনায় বসতে চান। এনিয়ে সৌগত রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যসচিব আলোচনায় বসবেন কিনা সেটা তারাই ঠিক করবেন। এটা তাদের ব্যাপার। জুনিয়র ডাক্তাররা প্রথম থেকে যে আন্দোলন করছেন তাদের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গীকে ঔদ্ধত্যমূলক মনে হয়েছে। রাজ্য সরকারকে উপদেশ দিতে চাই না। এই ঔদ্ধত্য কোনও সরকারের সহ্য করা উচিত নয়। অনেক সময় সরকার সমঝোতার স্বার্থে নমনীয়ও হন। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে নমনীয় হয়েও তাদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যাবে না। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

এই প্রসঙ্গে বলতেই হয়, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে বারেবারেই কড়া মন্তব্য করেছেন সুখেন্দুশেখর রায়। এনিয়ে তাঁকে লালবাজারেও ডাকা হয়েছিল। একের পর এক ট্যুইট করে দলকে বিব্রত করেছিলেন সুখেন্দু। জাগো বাংলার-র সম্পাদকের পদও ছেড়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে সাংসদ পদই ছেড়ে গিয়েছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। এনিয়েও তাদের নিশানা করেন সৌগত রায়।

জহর সরকারের সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়া ও সুখেন্দুশেখর রায়ের জাগো বাংলা-র সম্পাদকের পদ ছেড়ে দেওয়াকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন সৌগত রায়। তিনি বলেন, এঁরা দুজনেই কেউ  জনপ্রতিনিধি ছিলেন না। কোনও ভোটে জিতে আসেননি। জহর সরকার তো নির্বাচনে দাঁড়াননি। সুখেন্দু শেখর রায় জীবনে নির্বাচনে জেতেননি। না জেতা লোকজনের প্রতিবাদের কোনও মূল্য নেই। সুখেন্দুশেখরের জাগো বাংলার সম্পাদকের পদ ছেড়ে দেওয়াটা বড় ব্যাপার নয়। উনি আগে থেকেই কিছু দেখছিলেন না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − six =