পঞ্চায়েতের প্রচারের শেষ দিনেও থামান গেল না প্রাণহানি। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে আলফাজউদ্দিন হালদার নামে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়ে সোমবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ উঠছে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল তাঁর উপরে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ওই কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা। শোকসন্তপ্ত ওই পরিবারের সদস্যদের কাছে কাছে ফোন যায় রাজভবন থেকেও। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ফোন করে মৃত কংগ্রেস কর্মীর বাবা সাহাচাঁদ হালদারের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিশ্রুতি দয়িছেন সবরকমভাবে পরিবারকে সাহায্য করার।
মৃত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্যপাল সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন পিস রুমের সঙ্গে। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও জেলা প্রশাসনও যাতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে, সেই বন্দোবস্তও করেন রাজ্যপাল। নিহত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারকে যাতে এই কঠিন সময়ে প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের হিংসা কবলিত একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেছেন রাজ্যপাল। বাস্তব চিত্র সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। যেখানেই অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, সেখানেই ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ যাওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যপালের। কারণ, সেখানেও বেশ কিছু জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ এসেছে। পঞ্চায়েতে দিকে দিকে অশান্তির অভিযোগের মধ্যেই রাজ্যপাল নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ‘গ্রাউন্ড জিরোর’ রাজ্যপাল। বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে না বেরিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর তিনি। এদিকে রাজভবনে যে পিস রুমও খোলা হয়েছে সেখানে রাজ্যের কোথাও কোনও মানুষ অশান্তি বা হিংসার শিকার হলে ফোনে অভিযোগ জানাচ্ছেন। আর ফোন আসা মাত্রই তড়িঘড়ি ব্যবস্থাও নিচ্ছেন তিনি।